তরুণ জয়ের ফিফটি, ইমরুল-মাহমুদউল্লাহর ম্যাচ জেতানো ব্যাটিং

Mahmudullah
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

৫০ ওভারে ২২২ রান। খুব বড় লক্ষ্য নয়। কিন্তু বিসিবি প্রসিডেন্ট’স কাপে ব্যাটসম্যানের বেহাল দশার মাঝে তা চ্যালেঞ্জিং মনে হচ্ছিল। লিটন দাস আর নাঈম শেখের আরেক ব্যর্থতায় এই রানই দেখালো বেশ বড়সড়। তবে তরুণ মাহমুদুল হাসান জয় আর ইমরুল কায়েসের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ানোর পর দলকে তীরে ভিড়িয়েছেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

সোমবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তামিম একাদশকে  ৪   উইকেটে হারিয়েছে মাহমুদউল্লাহ একাদশ। রান তাড়ায় তিন নায়কের মধ্যে জয় করেছেন ১০১ বলে ৫৮, ইমরুল করেন ৫৫ বলে ৪৯ রান। দলের জয়ের মূল নায়ক মাহমুদউল্লাহ করেন ৮৭ বলে ৬৭ রান। এই জয়ে চার ম্যাচে দুটি জিতে ফাইনালের আশা টিকে থাকল মাহমুদউল্লাহরদের। 

Imrul Kayes
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

২২২ রান তাড়ায় প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় মাহমুদউল্লাহর দল। মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের ওভারের শেষ বলে পরিষ্কার বোল্ড হয়ে যান বাঁহাতি নাঈম। ঠিক পরের বলেই আরেক উইকেট। অর্থাৎ দ্বিতীয় ওভারে মোস্তাফিজের প্রথম বল ফ্লিক করতে গিয়ে শর্ট মিড উইকেটে ধরা পড়েন লিটন দাস।

Mahmudul Hasan Joy
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

৮ রানে ২ উইকেট হারিয়ে তালগোল পাকানোর দশা তখন মাহমুদউল্লাহ একাদশের। ওই অবস্থা থেকে দারুণ পরিণত মাথায় হাল ধরেন যুব বিশ্বকাপ জয়ী দলের জয়। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান যুব বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ম্যাচ জেতানো সেঞ্চুরি করেছিলেন। বিপর্যয়ে হাল ধরতে পারার মানসিকতা দেখিয়েছেন আবার।

আরেক পাশে ইমরুল ছিলেন সাবলীল। সহজেই রান বাড়ছিল তার ব্যাটে। লেগ স্টাম্পের বাইরে পাওয়া বলে বাউন্ডারি পাঠাতে ভুল করেননি। সাফুদ্দিনের বলে অথরিটি নিয়ে অন ড্রাইভ, দৃষ্টি নন্দন কাভার ড্রাইভ এসেছে। মোস্তাফিজকে খেলেছেন লফটেড ড্রাইভ। এগিয়ে যাচ্ছিলেন বড় কিছুর দিকে। কিন্তু সৈয়দ খালেদ আহমেদের আচমকা লাফানো বলে ক্যাচ দিয়ে তাকে থামতে হয় ৪৯ রানে।

আরেক থিতু ব্যাটসম্যান জয় সময় নিয়ে খেলে পৌঁছান ফিফটিতে। স্পিনারদের বলে তাকে দেখা গেছে বেশ স্বচ্ছন্দ। আউটও হয়েছেন স্পিনারের বলেই। তাইজুল ইসলামের বলে কাট করতে গিয়ে পার করতে পারেননি কাভারের ফিল্ডার।

এরপরে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ দায়িত্ব নেন পুরোটাই। কিপার ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান সোহানকে নিয়ে এগিয়ে যান ঝুঁকিহীনভাবে। রান রেটের চাপ বাড়তেই ইম্প্রোভাইজ শটে কমিয়েছেন তা। ৭০ বলে ফিফটি তোলার পর ৮৭ বলে ৬৭ রান করে তিনি যখন আউট হন দলের জিততে বাকি কেবল ৯ রান। সাইফুদ্দিনের বলে পুল করে ডিপ স্কয়ার লেগে ক্যাচ দেওয়ার আগে ৪ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কা মারেন মাহমুদউল্লাহ।

তবে বাকিটা সহজেই তুলে নেন  ৩৭ বলে ২৬ রান করা নুরুল হাসান সোহান।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

তামিম একাদশ: ৫০ ওভারে ২২১/৮   (তামিম ৯, তানজিদ ১, বিজয় ১, ইয়াসির ৬২, মিঠুন ১, মাইদুল ৫৭, মোসাদ্দেক ৪০, সাইফুদ্দিন ৩৮, শেখ মেহেদী ১, তাইজুল ০   ; রুবেল ৪/৩৪, রনি ১/৪০, ইবাদত ২/৬০, রাকিবুল ০/৩২, মিরাজ ০/৩০ , মাহমুদউল্লাহ ০/২৩ )

মাহমুদউল্লাহ একাদশ:  ৪৯.১ ওভারে  ২২২/৬  (নাঈম ৩, লিটন ৫, মাহমুদুল জয় ৫৮, ইমরুল ৪৯, মাহমুদউল্লাহ ৬৭, সোহান ২৬, সাব্বির ১, মিরাজ ০*;  সাইফুদ্দিন ২/৪৬, মোস্তাফিজ ১/৪৯, শেখ মেহেদী ০/৩৫, খালেদ ১/৩৯, তাইজুল ১/৪০)

ফল: মাহমুদউল্লাহ একাদশ ৪ উইকেটে জয়ী।

সেরা ব্যাটসম্যান: মাহমুদুল হাসান জয়।

সেরা বোলার: রুবেল হোসেন। 

সেরা ফিল্ডার: লিটন কুমার দাস। 

ম্যাচ সেরা: রুবেল হোসেন।

 

 

Comments