এমসি কলেজে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: হাইকোর্টে কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন
সিলেটের এমসি (মুরারিচাঁদ) কলেজ ছাত্রাবাসে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় প্রতিবেদন জমা দিয়েছে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি। আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চে প্রতিবেদনটি জমা দেওয়া হয়।
মোট ১৭৬ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনের ওপর আগামী ১ নভেম্বর শুনানি হবে বলে তারিখ নির্ধারণ করেছেন আদালত। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী। ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ মিসবাহ উদ্দিন। তিনি গত ২৯ সেপ্টেম্বর সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনাটি আদালতের নজরে আনেন।
আদালত স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে জানতে চান— ধর্ষণের শিকার তরুণীকে রক্ষায় অবহেলা ও অছাত্রদের কলেজে অবস্থানে নীরবতায় অধ্যক্ষ ও হোস্টেল সুপারের বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। দুই সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষা সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, এমসি কলেজের অধ্যক্ষ, হোস্টেল সুপারসহ বিবাদীদের এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
ওই দিনই কলেজ কর্তৃপক্ষের দায় আছে কি না তা খতিয়ে দেখতে আদালত তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে দেন। কমিটির সদস্যরা হলেন, সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সাধারণ)। ১৫ দিনের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছিল।
Comments