ট্র্যাকে ফিরতে মুশফিকের প্রেরণা কাজে লাগছে ইরফানের

ঘরোয়া ক্রিকেটে ইরফান শুক্কুর বেশ পরিচিত এক নাম। তবে ওই পর্যন্তই। একবার বিপিএল ফাইনালে ফিফটি করেছিলেন। মাঝেমধ্যে ঘরোয়া লিগে অবদান রাখতে দেখা যায় তাকে। তবে বড় তারকা আছেন, এমন কোন আসরে সবাইকে ছাপিয়ে নিজেকে আলোয় আনতে পারেননি কখনই। এবার বিসিবি প্রেসিডেন্ট’স কাপে তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকারদের ভিড়েও আলাদা করে নিজেকে চেনাচ্ছেন তিনি।
দলের পরিস্থিতির দাবি মেটাতে পারেন এই টুর্নামেন্টের দেখিয়েছেন দুইবার, দুই ভিন্ন পরিস্থিতিতে। শান্ত একাদশের হয়ে খেলা এই বাঁহাতি প্রথম ম্যাচেই কেড়েছিলেন আলো। সেদিন ১৯৭ রান তাড়ায় নেমে ৬৫ রানেই ৫ উইকেট হারিয়েছিল দল। সেখান থেকে ৭৮ বলে ৫৬ রানের ইনিংসে দলকে জেতান তিনি।
দ্বিতীয় ম্যাচে ২৪ রানে আউট হলেও পরের ম্যাচে দাবি ছিল দ্রুত রান বাড়ানোর। সাত নম্বরে নেমে তাই ৩১ বলে খেলেছেন ৪৮ রানের ইনিংস। প্রেসিডেন্ট’স কাপে বেশিরভাগ ব্যাটসম্যানের রান খরার মাঝে বেশ উজ্জ্বল তার ব্যাটিং।
বুধবার রাউন্ড রবিন লিগের শেষ ম্যাচের আগে জানালেন, বাকিদের কাছে প্রস্তুতিমূলক হলেও তার কাছে অন্যরকম দাবি নিয়ে এসেছিল এই টুর্নামেন্ট, ‘এই টুর্নামেন্ট আমার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ গত দুই বছর আমি আউট অব দা ট্র্যাক ছিলাম। তার আগে তিন বছর এইচপির ক্যাম্পে ছিলাম। এখন এই টুর্নামেন্ট ভালো যাচ্ছে। আমি মূলত চাচ্ছি, দলের জন্য খেলতে। দলের যা দরকার, সে অনুযায়ী খেলতে। দলের জন্য কার্যকর কিছু যেন করতে পারি।’
‘আমি তো মূলত টপ অর্ডারে ব্যাট করি। এখন সুযোগ পেয়েছি সাতে, আমার লক্ষ্য হচ্ছে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে যেন দলের জন্য কার্যকর ইনিংস খেলতে পারি।’
বয়সভিত্তিক দলে তার সতীর্থদের অনেকেই জাতীয় দলেও খেলে ফেলেছেন কয়েকবছর। ইরফান কক্ষপথে এখনো সেভাবে আসতেই পারেননি। এবার মুশফিকুর রহিমকে পেয়েছিলেন একই দলে। জানালেন অভিজ্ঞ মুশফিকের কথাতেই নাকি প্রেরণা পেয়েছেন তিনি, ‘সৌম্যরা আমার অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সতীর্থ। ওরা এখন অনেকদিন হলো জাতীয় দলে খেলছে। ওদের সঙ্গে এই ড্রেসিং রুম শেয়ার করে ভালো লাগছে। আর মুশফিক ভাই কিছু কথা বলেছেন। সবসময় যেন ক্যারেক্টার শো করার চেষ্টা করি।’
‘আমি সেই অ্যাপ্রোচই চেষ্টা করছি। উনার কথা শোনার চেষ্টা করছি। উনি কথা কম বললেও যেটুকু বলেন, খুব প্রেরণাদায়ী কথা বলেন। ক্যারেক্টার ও মাঠের ভেতরের অ্যাপ্রোচের কথা বলেন। ওইটাই ধরে রাখতে চাই।’
একটা সময় বাংলাদেশের ক্রিকেটে বড় যোগান দিত চট্টগ্রাম বিভাগ। মাঝে সেখানে চলেছে টানা খরা। সেটা কাটিয়ে আগামীতে নিজ বিভাগের ক্রিকেটেরও অনেক আশা দেখছেন তিনি, ‘একটা সময় বড় গ্যাপ পড়ে গিয়েছিল আমাদের। কেউ ছিল না (চট্টগ্রামের)। এখন অনূর্ধ্ব-১৯, এইচপি, জাতীয় দল মিলিয়ে বেশ কজন আছে। মূলত আমাদের মানসিকতায় বদল এসেছে এখানে যে সবাই কঠোর পরিশ্রম করা শুরু করেছে।’
‘তামিম ভাই, সৌরভ ভাই (মুমিনুল হক) উনারা যখন জাতীয় লিগে ছিলেন, আমাদেরকে বলেছেন যে পরিশ্রম ও অ্যাপ্রোচ যেন ঠিক থাকে, ফিটনেসে সবাই যেন জোর দেয়। এজন্য আমাদের সবাই প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ভালো করছে এখন।’
Comments