কাশিমপুর পাম্প হাউস পুনর্বাসন প্রকল্প

প্রকৃত মূল্যের চেয়ে ৩৪ কোটি টাকা বেশি আদায়ের অভিযোগে দুদকের মামলা

মৌলভীবাজারে ‘মনু নদীর সেচ প্রকল্পের আওতাধীন কাশিমপুর পাম্প হাউস পুনর্বাসন’ প্রকল্পের আওতায় পাম্প কেনায় দুর্নীতির অভিযোগে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী চৌধুরী নজমুল আলমসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক।
মনু নদীর সেচ প্রকল্পের আওতাধীন কাশিমপুর পাম্প হাউস পুনর্বাসন প্রকল্প। ছবি: সংগৃহীত

মৌলভীবাজারে ‘মনু নদীর সেচ প্রকল্পের আওতাধীন কাশিমপুর পাম্প হাউস পুনর্বাসন’ প্রকল্পের আওতায় পাম্প কেনায় দুর্নীতির অভিযোগে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী চৌধুরী নজমুল আলমসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক।

আজ বুধবার দুদকের হবিগঞ্জ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ পরিচালক কামরুজ্জামান দ্য ডেইলি স্টারকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, ‘আজ বুধবার দুদকের হবিগঞ্জ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে বাদী হয়ে মামলাটি করেন সংস্থাটির উপ-সহকারী পরিচালক সহিদুর রহমান।’

তিনি আরও বলেন, ‘মামলায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সিগমা ইঞ্জিনিয়ারস লিমিটেডের এমডি প্রকৌশলী সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল, চেয়ারম্যান প্রকৌশলী সৈয়দ আরশেদ রেজা এবং জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী আব্দুস সালামকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ‘আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে কাশিমপুর পাম্প হাউস পুনর্বাসন প্রকল্পের জন্য প্রকৃত দামের চেয়ে বেশি দামে পাম্প কিনেছেন। অনুসন্ধানে ৮টি পাম্পের প্রকৃত মূল্য পাওয়া যায় ২০ কোটি ৪১ লাখ টাকা। অথচ বিল হিসেবে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সরকার থেকে আদায় করেছে ৫৪ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।’

মামলার অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, এতে সরকারের ৩৪ কোটি ৪২ লাখ সতের হাজার একশ ছিয়ানব্বই টাকা বিশ পয়সা ক্ষতি হয়েছে। তারা দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সাল থেকে এই অভিযোগটি অনুসন্ধান শুর করে দুদক।

Comments

The Daily Star  | English
Raushan Ershad

Raushan Ershad says she won’t participate in polls

Leader of the Opposition and JP Chief Patron Raushan Ershad today said she will not participate in the upcoming election

7h ago