সব ঝাল বার্সার উপর ঢালবেন জিদান!
ঘরের মাঠে শাখতার দোনেস্কের বিপক্ষে হার। তাও এমন একটা দলের বিপক্ষে, যাদের মূল স্কোয়াডের ১০ জন খেলোয়াড় কোভিড-১৯ পজিটিভ হওয়ায় অনুপস্থিত! এর আগে লা লিগাতেও দ্বিতীয় স্তর থেকে উঠে আসা দুর্বল কাদিজের বিপক্ষে হার। এতে বেশ কোণঠাসা অবস্থায় আছেন রিয়াল মাদ্রিদ কোচ জিনেদিন জিদান। তার উপর আগামী শনিবার ‘এল ক্লাসিকো’। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনার মাঠে খেলতে যাবে লস ব্লাঙ্কোসরা। তবে বাজে সময় পেছনে ফেলে হাইভোল্টেজ সেই ম্যাচেই স্বরূপে ফেরার হুংকার দিলেন সাবেক ফরাসি তারকা জিদান।
দলের সামর্থ্য নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। যে কোনো সময়ই ঘুরে দাঁড়াতে পারে রিয়াল। কিন্তু টানা দুই ম্যাচে হারের পর আত্মবিশ্বাসে কিছুটা হলেও চিড় ধরেছে তাদের। লা লিগার শিরোপাধারীদের সমর্থকরাও বিরক্ত। কারণ, শাখতার ও কাদিজ, দুটি দলই শক্তির বিচারে অনেক পিছিয়ে। এমন দলের বিপক্ষে হারের পর স্বাভাবিকভাবেই তাদের রোষানলে পড়বেন যে কোনো দলের কোচ। জিদানের ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম ঘটেনি। তবে এ নিয়ে ভাবছেন না তিনি। বার্সেলোনার বিপক্ষে নিজের জাত চেনানোর অঙ্গীকার করেছেন তিনি, ‘লোকজন কী বলে এ নিয়ে আমি চিন্তা করি না। শনিবার বিকাল ৪টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ৮টা) আমরা দেখিয়ে দিব এবং খেলব। আমাদের জন্য এখন দরকার প্রশান্তি।’
চলতি মৌসুমের প্রথম ‘এল ক্লাসিকো’ অনুষ্ঠিত হবে ক্যাম্প ন্যুতে। জিদানের গভীর দৃষ্টি সে দিকেই। আর হার ভুলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও ঘুরে দাঁড়ানোর সামর্থ্য রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি, ‘আমি মনে করি, এটা (শাখতারের বিপক্ষে হার) ঠিক করে দেওয়ার সামর্থ্য আমার রয়েছে। আমি এটা চেষ্টা করব এবং খেলোয়াড়রাও এই চেষ্টাই করবে। আমরা এর সমাধানের পথ খুঁজে বের করব। তবে এখন আমাদের অবশ্যই শনিবারের ম্যাচের (বার্সেলোনার বিপক্ষে অ্যাওয়ে) জন্য প্রস্তুত হতে হবে।’
দ্বিতীয় সারির শাখতারের কাছে ঘরের মাঠে হার স্বাভাবিকভাবেই খুব বাজে অভিজ্ঞতা জিদানের জন্য। প্রথম গোল খাওয়ার পর যেন নিজেদের হারিয়ে ফেলে দলটি। ১৩ মিনিটের ব্যবধানে আরও দুটি গোল হজম করে বিরতির আগেই ম্যাচ থেকে যেন ছিটকে পড়ে তারা। জিদানের ভাষায়, ‘এটা (শাখতারের বিপক্ষে হার) অবশ্যই খুব বাজে অনুভূতি। সবকিছু গুলিয়ে দিয়েছে। প্রথম গোলের সময় আমরা একটি ভুল করেছিলাম। সত্যটি হলো, আমরা প্রথমার্ধে আত্মবিশ্বাস... আসলে সব কিছুই হারিয়ে ফেলেছিলাম।’
তবে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে দ্বিতীয়ার্ধে লড়াইয়ের আভাস দিয়েছিল স্বাগতিকরা। পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে দুটি গোল শোধ করেছিল। কিন্তু এরপর সমতাসূচক গোলের দেখা মিলেনি, ‘দ্বিতীয়ার্ধে খেলোয়াড়রা যেভাবে প্রতিক্রিয়া দেখায় এবং ঘুরে দাঁড়ায়, তাতে আমি খুশি। কারণ, তাদের এ জাতীয় জিনিস প্রাপ্য নয়। এটি একটি খারাপ ম্যাচ ছিল, একটি খারাপ রাত। আমি কোচ, আমারই সেই সমস্যার সমাধান খুঁজে পাওয়া দরকার এবং আজ রাতে এটি খুঁজে পাচ্ছি না।’
সবশেষে হারের দায় নিজের কাঁধেই তুলে নিয়েছেন এ ফরাসি কোচ, ‘আমিই দায়বদ্ধ এবং যেহেতু প্রথমার্ধটি নেতিবাচক ছিল, আমি কিছু ঠিক করিনি। প্রথম গোল সবকিছু পরিবর্তন করে দেয় এবং (শেষ পর্যন্ত) আমাদের মূল্য দিতে হয়। তবে এই আসর (চ্যাম্পিয়ন্স লিগ) সবে শুরু হয়েছে এবং আমরা হাল ছাড়ব না।’
Comments