রিয়াল ফরোয়ার্ডকে জেলে কাটাতে হতে পারে ছয় মাস
গত মৌসুমে বেশ ঘটা করে লুকা জোভিচকে দলে টেনেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। বড় অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে। কিন্তু তার পেছনে বিনিয়োগের প্রতিদান সার্বিয়ান এই স্ট্রাইকার দিতে পারছেন কই?
মাঠের পারফরম্যান্স বিবর্ণ। কোনোভাবেই রিয়ালের মতো ক্লাবের সঙ্গে মানানসই নয়। কিন্তু ২২ বছর বয়সী জোভিচের দুর্দশার ইতি ঘটছে না সেখানেই। মাঠের বাইরের কর্মকাণ্ডেও বিতর্কের মুখে পড়েছেন তিনি। এমনকি তাকে জেলে কাটাতে হতে পারে ছয় মাস, জানিয়েছে তার নিজ দেশের সংবাদ সংস্থা ‘তানযুগ’।
গত মার্চে করোনাভাইরাস প্রোটোকল ভঙ্গ করেছিলেন জোভিচ। রিয়ালের বাকি খেলোয়াড়রা কোয়ারেন্টিনে থাকলেও তিনি ফিরেছিলেন সার্বিয়ায়। এরপর নিজ দেশের স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করে গণমাধ্যম ও প্রশাসনের তোপের মুখে পড়েছিলেন।
নিয়ম অনুযায়ী, দেশে ফেরার পর দুই সপ্তাহ কোয়ারেন্টিনে থাকার কথা ছিল জোভিচের। কিন্তু স্বাস্থ্যবিধিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বান্ধবীর জন্মদিনে হাজির হয়েছিলেন তিনি। দুজনে ঘুরে বেড়ান রাস্তাতেও।
ওই ঘটনার পর জোভিচের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ গঠন করা হয়। সার্বিয়ার আইন অনুসারে, সরকারি কৌঁসুলিদের অভিযোগ একজন বিচারক কর্তৃক অনুমোদিত হতে হয়। নীতিগতভাবে এই অনুমোদন পাওয়ার কথা রয়েছে শুক্রবার।
জোভিচ অবশ্য নিজের ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়েছিলেন তাৎক্ষণিকভাবে। তবে কোয়ারেন্টিন প্রোটোকল ভাঙার বিষয়টিকে ভীষণ গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছেন কৌঁসুলিরা। তাই জোভিচের ছয় মাসের জেল চেয়েছেন তারা।
এর আগে সার্বিয়ান গণমাধ্যম ‘আরটিএস’ জানিয়েছিল, ৩০ হাজার ইউরো জরিমানা দিতেও হয়েছে জোভিচকে। এতে সুর কিছুটা নরম হয়েছে কৌঁসুলিদের। নইলে তার বিরুদ্ধে আরও বড় শাস্তির আবেদন করা হতো।
Comments