হাতিয়ার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, দেখা দিয়েছে ভাঙন
সাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে টানা বর্ষণ ও জোয়ারের তীব্রতায় নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার কয়েকটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। সেই সঙ্গে দেখা দিয়েছে ভাঙন।
বৈরী আবহাওয়ার কারণে হাতিয়ার সঙ্গে গতকাল থেকে সারাদেশের নৌ-যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এর ফলে হাজার হাজার যাত্রী হাতিয়াসহ বিভিন্ন স্থানে আটকা পড়েছেন।
দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে স্থানীয় প্রশাসন চার নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত জারি করেছে।
আজ শুক্রবার বিকালে হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইমরান হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, গতকাল এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বলবত থাকছে।
ইউএনও জানান, নিম্নচাপের প্রভাবে ও টানা বর্ষণে উপজেলার নিঝুম দ্বীপ, চর ঈশ্বর, নলচিরা ইউনিয়নের বেড়িবাঁধহীন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৩৫০ মেট্রিকটন ত্রাণ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সাগরে চার নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত থাকায় উপজেলার সব সাইক্লোন সেন্টার খুলে দেওয়া হয়েছে। সিগনাল পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। সিপিপি’র (সাইক্লোন প্রিপারেশন প্রজেক্ট) সাড়ে তিন হাজার স্বেচ্ছাসেবক কর্মীকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এ ছাড়া, দুর্যোগ মোকাবিলার সার্বিক বিষয়ে মনিটরিং করতে উপজেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, হাতিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
হাতিয়ার আবহাওয়া পর্যবেক্ষক আলাউদ্দিন সুমন জানান, সমুদ্র উপকূলে চার নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে মেঘনা নদী ও বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব ধরনের নৌযান ও মাছধরার ট্রলারকে সাবধানের চলাচলের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে হাতিয়া চেয়ারম্যান ঘাট নৌ-রুটে বিআইডব্লিউটি’র সি-ট্রাক, ইঞ্জিনচালিত নৌকা, স্পীডবোটসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এর ফলে, হাতিয়ার সঙ্গে সারাদেশের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এবং ঢাকা, চট্টগ্রামগামী হাজার হাজার যাত্রী আটকে পড়েছেন।
Comments