চাটখিলে বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা শরীফের বিরুদ্ধে আরেকটি ধর্ষণ মামলা
নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার নোয়াখলা ইউনিয়নের বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা শরীফ বাহিনীর প্রধান মজিবুর রহমান শরীফের (৩২) বিরুদ্ধে আরও এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ গতকাল বিকেলে চাটখিল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। পরে রাত ১১টার দিকে লিখিত অভিযোগটি ধর্ষণ মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করেছে চাটখিল থানা পুলিশ।
আজ শনিবার চাটখিল থানার ওসি মো. আনোয়ারুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ওসি মো. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘শুক্রবার বিকেলে এক নারী শরীফের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেন। পুলিশ অভিযোগটি তদন্ত করে এর সত্যতা পাওয়ায় রাত ১১টায় লিখিত অভিযোগটি ধর্ষণ মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়। শরীফ বর্তমানে চারদিনের রিমান্ডে চাটখিল থানায় পুলিশ হেফাজতে আছেন। তাকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।’
লিখিত অভিযোগে জানা যায়, চাটখিল উপজেলার নোয়াখলা ইউনিয়নের ওই নারীর স্বামী ঢাকায় ব্যবসা করেন। তিনি ছোট ভাই, এক মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে স্বামীর বাড়ীতে বসবাস করেন। ২০১৮ সালের ১৫ ডিসেম্বর তার সন্তানরা বাবার বাড়ীতে বেড়াতে যান। ওইদিন রাতে ছোট ভাইসহ নিজ বাসায় ঘুমিয়ে পড়েন ওই নারী। পরে রাত ২টার দিকে মজিবুর রহমান শরীফ গৃহবধূর ঘরের জানালার কাচ ভেঙে তার দিকে অস্ত্র ধরে দরজা খুলতে বলেন। কিন্তু, ওই গৃহবধূ দরজা খুলতে অপারগতা প্রকাশ করলে শরীফ ঘরের ভিতর তার আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে দুই রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে। নিরুপায় হয়ে ভয়ে ওই গৃহবধূ দরজা খুলে দেন । এরপর শরীফ ঘরে ঢুকে গৃহবধূর ভাইকে ওড়না দিয়ে অন্য একটি কক্ষে নিয়ে হাত-পা খাটের সঙ্গে ও গামছা দিয়ে মুখ বেধে রাখে। পরে শরীফ গৃহবধূকে অস্ত্রের মুখে তাকে ধর্ষণ করে এবং যাওয়ার সময় কাউকে কিছু বললে হত্যার হুমকি দিয়ে যায়। ভুক্তভোগী নারী ঘটনাটি তার স্বামীকে জানালেও শরীফ প্রভাবশালী ও অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী হওয়ায় তিনি ভয়ে কাউকে জানাননি।
এরআগে, ২১ অক্টোবর ভোরে এক প্রবাসীর স্ত্রীর ঘরে ঢুকে তার দুই সন্তানকে অন্য কক্ষে আটকে রেখে ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে হত্যার হুমকি দিয়ে তাকে ধর্ষণ করে এবং বিবস্ত্র করে নারীর ছবি ও ধর্ষণের দৃশ্য ভিডিও করে। এ ঘটনায় ওই নারী বাদী একইদিন দুপুরে চাটখিল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরে পুলিশ অভিযান শরীফকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় গতকাল আদালত মজিবুর রহমান শরীফের (৩২) চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুন:
Comments