আগামী বছরের শুরুতে বন্ধ হচ্ছে অবৈধ মোবাইল হ্যান্ডসেট

ছবি: রয়টার্স

অবৈধভাবে আমদানি করা বা নকল ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইক্যুইপমেন্ট আইডেন্টিফিকেশন (আইএমইআই) নম্বরের মোবাইল হ্যান্ডসেটগুলো আগামী বছরের শুরু থেকে আর ব্যবহার করা যাবে না। কারণ জাতীয় টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা এমন একটি প্রযুক্তি ব্যবহার করতে যাচ্ছে যা এসব হ্যান্ডসেটের সিম কার্ডের সেবা বন্ধ রাখবে।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) অবৈধভাবে আমদানি ও শুল্ক ফাঁকি দমনে এই প্রযুক্তি নিয়ে কয়েক বছর ধরে কাজ করছে।

বিটিআরসির সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) জাকির হোসেন খান বলেন, ‘সরকার আগেই এমন বার্তা দিয়েছিল। চলতি বছরের অক্টোবরের মধ্যে এটি চালুর কথা ছিলো। কিন্তু, করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে দেরি হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সফটওয়ার উন্নয়নের দরপত্র প্রক্রিয়া প্রায় শেষ। আগামী বছরের শুরুর দিকে এটি বাস্তবায়িত হবে।’

এর আগে গত বছরের জুলাইয়ে টেলিকম ওয়াচডাগ এই সংক্রান্ত একটি পাবলিক নোটিশ জারি করেছিল। তখন গ্রাহকদের মোবাইল ডিভাইসের আইএমইআই নম্বর বিটিআরসির সঙ্গে নিবন্ধিত কিনা তা পরীক্ষা করতে বলা হয়।

বিটিআরসির মতে, গত তিন বছরে ফোন আমদানিকারক, অপারেটর এবং বাংলাদেশি মোবাইল নির্মাতাদের তথ্য নিয়ে ১১৮.২২ মিলিয়ন আইএমইআই নম্বর একটি ডাটাবেজে যুক্ত করা হয়েছে।

নিয়ন্ত্রক সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, কোনো আইএমইআই যদি অনিবন্ধিত থাকে, তাহলে সেটি নকল এবং তা অবৈধভাবে দেশে আনা হয়েছে।

যে কেউ *#০৬#-এ ডায়াল করে মোবাইলের পর্দায় তার হ্যান্ডসেটের আইএমইআই নম্বর খুঁজে পাবেন।

সেটি নিবন্ধিত কিনা জানতে মোবাইল ফোনের ম্যাসেজ অপশনে গিয়ে KYD স্পেস ১৫ ডিজিটের আইএমইআই নম্বর লিখে ১৬০০২ নম্বরে পাঠাতে হবে।

গত বছরের ২২ জানুয়ারি বিটিআরসি মোবাইল হ্যান্ডসেট অনলাইন ডাটাবেস চালু করে। তারপরে থেকে বৈধভাবে আমদানি করা এবং এসেম্বল করা সব হ্যান্ডসেট তাদের ডাটাবেসে নিবন্ধিত হচ্ছে।

বিটিআরসির কর্মকর্তাদের মতে, বাংলাদেশে বর্তমানে ব্যবহৃত ১০ কোটি মোবাইলের প্রায় ৩০ শতাংশ অবৈধভাবে আমদানি করা হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English
rally demanding ban on awami league in Dhaka

Blockade at Shahbagh demanding AL ban

The demonstration follows a sit-in that began around 10:00pm last night in front of the Chief Adviser's residence

4h ago