বগুড়ায় মন্দির প্রাঙ্গণে কুপিয়ে হত্যা
গত রাতে বগুড়ায় মন্দির প্রাঙ্গণে একজনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
নিহত সুব্রত দাস ওরফে সম্রাট (২৭) বগুড়া সদর উপজেলার সাবগ্রাম এলাকার বাসিন্দা। গত রাত ১টায় সাবগ্রাম বাজার মন্দির প্রাঙ্গণে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয় বলে পুলিশ এবং এলাকাবাসী জানিয়েছে।
পুলিশ বলেছে, স্থানীয় দুটি সন্ত্রাসী গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্বের জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড। সম্রাটের বিরুদ্ধে হত্যাসহ বিভিন্ন অভিযোগে অন্তত চারটি মামলা ছিল।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘গত রাতে সম্রাট মোটরসাইকেলে সাবগ্রাম বাজার এলাকা পার হচ্ছিল। সেখানে ওত পেতে থাকা ৫-৬ জন সন্ত্রাসী তাকে পেছন থেকে লাঠি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করলে সম্রাট মোটরসাইকেল ফেলে স্থানীয় একটি মন্দিরে আশ্রয় নেয়। কিন্তু সন্ত্রাসীরা সেখানেই তাকে কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়।’
বগুড়া পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঁইয়া দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রাথমিকভাবে আমি জানতে পেরেছি স্থানীয় দুটি সন্ত্রাসী গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণে এই ঘটনা ঘটেছে। সম্রাট স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী ছিল। এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সাথে সে জড়িত ছিল। তার নামে হত্যা, অস্ত্র, ডাকাতিসহ চারটি মামলা রয়েছে। সম্প্রতি জেল থেকে সে জামিনে বেরিয়ে এসেছিল। সম্রাটের বড় ভাই জুয়েল চন্দ্র দাসও সন্ত্রাসী, তার বিরুদ্ধে হত্যাসহ ৯টি মামলা রয়েছে। সে কারাগারে আছে। সদর থানার সাবেক যুবদলের সভাপতি অতুল চন্দ্র দাস এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে জানতে পেরেছি। জড়িতদের ধরতে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।’
স্থানীয় লোকজন জানান, সম্রাট ২০১১ সাল পর্যন্ত সাবগ্রাম ইউনিয়ন স্বেচ্ছা সেবক দলের কর্মী ছিল। পরে ইউনিয়ন যুবলীগে যোগ দেন। তবে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক এবং যুবলীগ নেতারা সম্রাটের সঙ্গে তাদের দলীয় সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেছেন।
এই বিষয়ে বগুড়া জেলা যুবলীগ সভাপতি সুভাষিত পোদ্দার লিটনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘সম্রাট সাবগ্রাম শহরতলীর যুবলীগ সভাপতি মনিরুজ্জামান মানিক হত্যা মামলার এক নাম্বার আসামি। তার সঙ্গে যুবলীগের সম্পৃক্ততার কোনো প্রশ্নই আসে না।
Comments