চীন-বিরোধী বার্তা নিয়ে ভারতে পম্পেও
ট্রাম্প প্রশাসনের চীন-বিরোধী বার্তা নিয়ে চার দেশ সফরের অংশ হিসেবে গতকাল ভারতে আসেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। তার সঙ্গে রয়েছেন প্রতিরক্ষা প্রধান মার্ক এসপার।
আজ মঙ্গলবার সফররত মার্কিন কর্মকর্তারা ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে দেখা করেন। তারা দুই দেশের কৌশলগত সম্পর্কের চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে আলোচনা করেন।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বরাত দিয়ে হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, একই লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তা ও সব বিষয়ে সক্ষমতা তৈরির বিষয়ে দুই পক্ষ বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে।
সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়, এসপারকে সঙ্গে নিয়ে পম্পেও প্রথম ভারতে এলেন। তিনি ট্রাম্পের চীন-বিরোধী বার্তা নিয়ে ভারতের পর শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ ও ইন্দোনেশিয়ায় যাবেন।
মার্কিন গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে এতে আরও বলা হয়, সফরকৃত দেশগুলোতে বৈঠকে পম্পেও চীনের প্রভাব কমাতে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতার ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা করবেন।
ভারতীয় কর্মকর্তারা জানান, পম্পেও এর সঙ্গে আলোচনায় ভারতের সঙ্গে চীনের সীমান্ত উত্তেজনা এবং গত জুনে রক্তক্ষয়ী সংঘাতের বিষয়টি তুলে ধরা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশ দুটির মধ্যে সম্পর্ক আরও গভীর করতে দোভাল, পম্পেও ও এসপার বিশদভাবে আলোচনা করেছেন। চীনের প্রভাব কমাতে ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে চতুর্দেশীয় সিকিউরিটি ডায়ালগের প্রসঙ্গ টেনে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার পরিবেশ নিশ্চিত করার বিষয়টি নিয়েও আলোচনা করা হয়।
ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর থেকেই চীনকে একঘরে করার জন্যে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক জোরালো করতে কাজ করছেন। তার প্রশাসন গত চার বছরে সামরিকখাতে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক সুদৃঢ় করেছে। গত ফেব্রুয়ারিতে ভারতের সঙ্গে ৩ বিলিয়ন ডলারের সামরিক চুক্তি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
গতকাল সন্ধ্যায় ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে দেখা করেন পম্পেও। টুইটার বার্তায় জয়শঙ্কর দুই উদীয়মান মিত্রের সম্পর্ক ‘সবক্ষেত্রেই ব্যাপকভাবে’ গড়ে উঠেছে বলে জানান।
এক বার্তায় মার্কিন কর্তৃপক্ষ জানায়, ‘দুই দেশ, ইন্দো-প্রশান্ত অঞ্চল ও সারা বিশ্বের নিরাপত্তার জন্যে’ ভারত-যুক্তরাষ্ট্র অংশীদারিত্ব খুবই জরুরি বলে উভয় পক্ষ একমত হয়েছে।
আজ সকালে জয়শঙ্কর ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে পম্পেও ও এসপার বেসিক এক্সচেঞ্জ অ্যান্ড কো-অপারেশন অ্যাগ্রিমেন্টে সই করেছেন। এই চুক্তির মাধ্যমে ভারত উন্নত ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি পাবে এবং যুক্তরাষ্ট্র পাবে গোয়েন্দা তথ্য।
Comments