জিতেই চলেছে বায়ার্ন, ইন্টারকে রুখে দিয়েছে শাখতার
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বায়ার্ন মিউনিখের জয়ের ধারা অব্যাহত রয়েছে। লকোমোটিভ মস্কোর মাঠ থেকেও দারুণ জয়ে নিয়ে ফিরেছে দলটি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এ নিয়ে টানা ১৩টি ম্যাচ জিতেছে তারা। অন্যদিকে ইতালিয়ান জায়ান্ট ইন্টার মিলানকে রুখে দিয়েছে দ্বিতীয় সারির দল নিয়ে স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদকে হারিয়ে চমক দেখানো দল শাখতার দোনেস্ক।
মঙ্গলবার আরজেডডি অ্যারেনায় লকোমোটিভ মস্কোকে ২-১ গোলে হারিয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখ। অপর ম্যাচে ঘরের মাঠে ইন্টার মিলানের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে শাখতার দোনেস্ক।
ঘরের মাঠে এদিন দুর্দান্ত ছন্দে থাকা বায়ার্নের বিপক্ষে অনেকটা সমান তালেই লড়াই করে। যদিও মাঝমাঠের দখল বেশির ভাগ সময় ছিল বায়ার্নের নিয়ন্ত্রণেই। তবে বাভারিয়ানদের আক্রমণ প্রতিহত করে বেশ কিছু দারুণ আক্রমণ শানায় তারা। চ্যাম্পিয়নদের বারপোস্টে ১৫টি শট নেয় দলটি। যার মধ্যে ৬টিই ছিল লক্ষ্যে। অন্যদিকে ১৯ শটের মধ্যে ৪টি শট লক্ষ্যে রেখে দুটি গোল আদায় করে নেয় জার্মান দলটি।
এদিন ম্যাচের ১৩তম মিনিটে অসাধারণ এক গোল দিয়ে এগিয়ে যায় বায়ার্ন। বাঁ প্রান্ত থেকে কোরেন্তিন তোলিসোর ক্রসে দারুণ এক ভলিতে ডি-বক্সে থাকা লিওন গোরেতজার উদ্দেশ্যে বল দেন বেঞ্জামিন পাভার্ড। আর নিখুঁত হেডে বল জালে পাঠাতে কোনো ভুল করেননি এ জার্মান মিডফিল্ডার। অবশ্য এর আগে ম্যাচের চতুর্থ মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারতো মস্কো। অবিশ্বাস্য এক মিস করেন ফেদর এসমলভ। আন্তন মিরানচুকের ক্রস থেকে একেবারে ফাঁকায় গোলরক্ষককে পেয়েও যে হেড নিলেন তা ছিল গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নয়ার বরাবর।
২৫তম মিনিটে অনেকটা নিজেদের গোলের কার্বন কপিতে প্রায় গোল পেয়ে যাচ্ছিল বায়ার্ন। তবে এবার গোরেতজার জায়গায় ছিলেন কিংসলে কোমান। পাভার্ডের ভলিতে তার হেড একেবারে বারপোস্ট ঘেঁসে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৬৯তম মিনিটে সার্জ ন্যাব্রির সঙ্গে দেওয়া নেওয়া করে অবিশ্বাস্য এক মিস করেন কোমান। একেবারে ফাঁকায় থেকে থেকেও যে শট নেন তা লক্ষ্যে থাকেনি।
পরের মিনিটে পাল্টা আক্রমণ থেকে সমতায় ফেরে মস্কো। সতীর্থের বাড়ানো বল অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে ধরে মাঝ মাঠ থেকে একক দক্ষতায় নিয়ে ডি-বক্সে মারানচুককে পাস দেন যে লুইস। নিখুঁত এক শটে লক্ষ্যভেদ করেন এ রাশিয়ান মিডফিল্ডার। গোলরক্ষক নয়ারের তাকিয়ে দেখা ছাড়া কিছুই করার ছিল না।
৭৭তম মিনিটে পাল্টা আক্রমণ থেকে প্রায় গোল পেয়ে গিয়েছিল স্বাগতিকরা। লুইসের নেওয়া শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। দুই মিনিট পর ফের এগিয়ে যায় বায়ার্ন। হ্যাভিয়ার মার্তিনেজের কাছ থেকে বল পেয়ে ডি-বক্সের বাইরে থেকে গোড়ানো এক শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন কিমিখ। এরপরও দুই দল গোলের জন্য চেষ্টা চালালেও জালের দেখা পায়নি। জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে সফরকারীরা।
অপর ম্যাচে শুরু থেকে আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে খেলতে থাকে শাখতার ও ইন্টার। বেশ কিছু সুযোগও পেয়েছিল দুই দল। তবে ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় গোলের দেখা মিলেনি। যদিও ৪০ তম মিনিটে রোমেলু লুকাকুর শট বারপোস্টে লেগে না আসলে জয় পেতে পারতো সফরকারী দলটি। ফলে ড্র মেনেই মাঠ ছাড়ে দুই দল।
Comments