মনশেনগ্লাডবাখের মাঠে রিয়ালের হোঁচট
শেষবার যখন বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখের মাঠে খেলতে এসেছিল রিয়াল মাদ্রিদ, তখন তারা বিধ্বস্ত হয়েছিল ৫-১ গোলের ব্যবধানে। ২৫ বছর পর প্রতিশোধ নিতে ফের জার্মানিতে গিয়েছিল চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সবচেয়ে সফল দলটি। প্রতিশোধ নিতে পারেনি দলটি। তবে দুই গোলে পিছিয়ে পড়েও ড্রয়ের সন্তুষ্টি নিয়ে ফিরছে তারা। তবে আরও একটি হোঁচটে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সমীকরণ কঠিন করে ফেলছে স্প্যানিশ জায়ান্টরা।
স্তাদিও বরুসিয়া পার্কে মঙ্গলবার রাতে বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ ও রিয়াল মাদ্রিদের মধ্যকার ম্যাচটি ২-২ গোলের ব্যবধানে অমীমাংসিত থাকে।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এবার দ্বিতীয় সারির শাখতার দোনেস্কের কাছে হেরে শুরু করেছিল রিয়া। এদিনও প্রায় হেরেই যাচ্ছিল। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে নাটকীয়ভাবে ফিরে আসে তারা। তবে মনশেনগ্লাডবাখের ফরোয়ার্ডরা সহজ সুযোগ নষ্ট না করলে এবং গোলরক্ষক থিবো কর্তুয়া অসাধারণ কিছু সেভ না করলে এ ম্যাচেও হারতে হতো তাদের।
এদিন ম্যাচের প্রথমার্ধে তেমন সুবিধা করে উঠতে পারছিল না কোনো দলই। ২৯তম মিনিটে বলার মতো প্রথম আক্রমণ করে রিয়াল। ম্যাচ জমে উঠে থাকে তখন থেকেই। বেনজেমার দূরপাল্লার শট ঝাঁপিয়ে পড়ে কর্নারের বিনিময়ে ঠেকিয়ে দেন মনশেনগ্লাডবাখ গোলরক্ষক ইয়ান সোমার। কর্নার থেকে নেওয়া বেনজেমার হেডও সহজে লুফে নেন এ গোলরক্ষক।
চার মিনিট পাল্টা আক্রমণ থেকে এগিয়ে যায় মনশেনগ্লাডবাখ। বাঁ প্রান্ত থেকে আলাসানে প্লেয়ার বাড়ানো বলে জোরালো এক শটে লক্ষ্যভেদ করেন মার্কাস থুরাম। ৩৭তম মিনিটে অসাধারণ এক সেভ করেন মনশেনগ্লাডবাখ গোলরক্ষক সোমার। ডান প্রান্ত থেকে ভালভার্দের বাড়ানো বল পেয়ে জোরালো শট নিয়েছিলেন আসেনসিও। তবে গোলরক্ষককে পরাস্ত করতে পারেননি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সমতায় ফিরতে পারতো রিয়াল। কর্নার থেকে সৃষ্ট জটলায় আলগা বল পেয়ে গিয়েছিলেন আসেনসিও। ভালো শটও নিয়েছিলেন। কিন্তু তার শট বারপোস্টে লেগে ফিরে আসে। ৫০তম মিনিটে ভালভার্দের কাটব্যাক থেকে অনেকটা ফাঁকায় বল পেয়েছিলেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। কিন্তু অনেক বাইরে মারেন তিনি।
আট মিনিট পর আরও একটি গোল হজম করে রিয়াল। প্লেয়ার শট গোলরক্ষক কর্তুয়া ফিরিয়ে দিলেও আলগা বল পেয়ে যান থুরাম। আলতো টোকায় বল জালে জড়াতে কোনো ভুল করেননি তিনি। ৬১তম মিনিটে অবিশ্বাস্য এক সেভ করেন কর্তুয়া। তাকে একেবারে ফাঁকায় একা পেয়ে গিয়েছিলেন প্লেয়া। কিন্তু এ দফায় জয়ী হন বেলজিয়ান গোলরক্ষক।
৬৬তম মিনিটে লারস স্টিন্ডির শট একেবারে বারপোস্ট ঘেঁষে না গেলে ব্যবধান আরও বাড়তে পারতো। সাত মিনিট পর বেনজেমার কাটব্যাক থেকে বদলি খেলোয়াড় এডেন হ্যাজার্ডের শট বাইরের জাল কাঁপায়। ৮৭তম মিনিটে ব্যবধান কমায় রিয়াল। এক সতীর্থের বাড়ানো বল দারুণ হেডে পেছনে থাকা করিম বেনজেমাকে দেন ভালভার্দে। দারুণ এক ভলিতে বল জালে জড়ান এ ফরাসি ফরোয়ার্ড।
ম্যাচের যোগ করা সময়ে সমতায় ফেরে রিয়াল। ফ্রি কিক থেকে নেওয়া লুকা মদ্রিচের শট দারুণ এক হেডে কাসেমিরোকে দেন সের্জিও রামোস। ফাঁকায় বল পেয়ে জালে জড়াতে কোনো ভুল করেননি এ ব্রাজিলিয়ান। ফলে হার এড়াতে পেরেছে স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়নরা।
Comments