মাইক্রোবাসে গৃহবধূকে রাতভর ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ৪
পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় মাইক্রো-বাসে তুলে এক গৃহবধূকে (২০) রাতভর ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ বুধবার দুপুরে তাদের পঞ্চগড়ের একটি আদালতে হাজির করা হলে আদালত জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বোদা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু সায়েম মিয়া দ্য ডেইলি স্টারকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে ভুক্তভোগী গৃহবধূ চারজনকে আসামি করে বোদা থানায় অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
মামলার এজাহার সূত্রে আবু সায়েম মিয়া জানান, বোদা উপজেলার ময়দানদিঘীর একটি গ্রামের বাসিন্দার সঙ্গে অভিযুক্ত জাহিদুল ইসলাম ওরফে রতনের মুঠোফোনে পরিচয় হয়। তাদের মধ্যে মাঝে মাঝে কথা ও ক্ষুদে বার্তা আদান-প্রদান হতো। গত সোমবার দুপুরে ওই গৃহবধূর স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া হয়। এ সুযোগে জাহিদুল তাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ময়দানদিঘী বাজারে চলে আসতে বলে। ভুক্তভোগী সন্ধ্যায় সেখানে এলে কাজী অফিসে যাওয়ার কথা বলে প্রথমে বোদা বাজারে ও পরে পঞ্চগড় রেলস্টেশনে নিয়ে যায় জাহিদুল। রাতে রেল স্টেশন এলাকায় একটি রেস্টুরেন্টে জাহিদুল ইসলাম, অটোরিকশা চালক আমিরুল ইসলাম ও নুর আলমসহ ওই গৃহবধূ রাতের খাবার খান। খাওয়া শেষে জাহিদুল মুঠোফোনে শহীদুল ইসলামকে মাইক্রোবাস নিয়ে আসতে বলেন। পরে তাকে মাইক্রোবাসে তুলে প্রথমে সদর উপজেলার মালাদাম বাজারে নিয়ে যায়। পরে গভীর রাতে সেখান থেকে পঞ্চগড় শহরের মৈত্রী ফিলিং স্টেশনের একপাশে মাইক্রোবাসটি থামানো হয়। সেখানে মাইক্রোবাসের ভিতরেই ওই গৃহবধূকে মারধর করে এবং ভয়-ভীতি দেখিয়ে জাহিদুল ও মাইক্রোবাস চালক শহীদুল রাতভর ধর্ষণ করে। পরে মঙ্গলবার ভোরে জাহিদুল মোটরসাইকেলযোগে আবারও ওই গৃহবধূকে বোদা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় নামিয়ে দিয়ে চলে যায়। পরে তার পরিবারের সদস্যরা খবর পেয়ে গৃহবধূকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যান।
মামলার পরপরই পুলিশ জাহিদুল ইসলামকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে এবং তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী অপর তিনজনেকও গ্রেপ্তার করে। পরে ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটি পঞ্চগড় শহরের সিএন্ডবি মোড় এলাকা থেকে জব্দ করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার চার জন হলেন, জাহিদুল ইসলাম ওরফে রতন (২৫), আমিরুল ইসলাম (৩০), মাইক্রোবাস চালক শহীদুল ইসলাম (২৭) এবং নুর আলম (২৪)।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও বোদা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু সায়েম মিয়া বলেন, ‘ভুক্তভোগী গৃহবধূ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের সংশোধনী অধ্যাদেশ ২০২০-এ অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। ভুক্তভোগীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।’
Comments