রায়হান হত্যা: এএসআই আশেক এলাহী গ্রেপ্তার

সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে পুলিশি নির্যাতনের শিকার হয়ে রায়হান আহমদের মৃত্যুতে এবার বরখাস্তকৃত সহকারী উপ-পরিদর্শককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
রায়হান আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে পুলিশি নির্যাতনের শিকার হয়ে রায়হান আহমদের মৃত্যুতে এবার বরখাস্তকৃত সহকারী উপ-পরিদর্শককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

গতরাতে সিলেট পুলিশ লাইন্স থেকে বরখাস্তকৃত সহকারী উপ-পরিদর্শক আশেক এলাহীকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে আজ বৃহস্পতিবার দ্য ডেইলি স্টারকে জানান পিবিআইয়ের বিশেষ পুলিশ সুপার মুহাম্মদ খালেদ-উজ-জামান।

আজকেই তাকে সিলেট আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করা হবে বলে জানান তিনি।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ১১ অক্টোবর ভোররাতে রায়হানকে আটক করে ফাঁড়িতে নিয়ে আসেন আশেক এলাহী।

তারপরই নির্যাতনের পর গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ঘণ্টাখানেক পরেই মারা যান রায়হান।

রায়হান (৩৩) নগরীর আখালিয়া নেহারিপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তার মৃত্যুর পরদিন সিলেট কোতোয়ালী থানায় পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনের শিকার হয়ে মৃত্যুবরণ বিষয় উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন তার স্ত্রী।

সেদিনই ওই ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক আকবরসহ চার জনকে সাময়িক বরখাস্ত এবং আরও তিন জনকে প্রত্যাহার করে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ। বরখাস্ত ও প্রত্যাহারকৃতদের পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হলেও পালিয়ে যান আকবর।

পরে এই ফাঁড়ির নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত ইনচার্জ হাসান উদ্দিনকেও আকবরকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করার অপরাধে বরখাস্ত করা হয়।

এর আগে এই মামলায় কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাস, কনস্টেটেবল হারুনুর রশীদ ও পুলিশের সোর্স সাইদুল শেখকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই।

আরও পড়ুন:

সিলেটে পুলিশি নির্যাতনে যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ

পুলিশের নির্যাতনে মৃত্যুর অভিযোগ: অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা

রায়হান হত্যা: সিসি ক্যামেরার ফুটেজে গণপিটুনির প্রমাণ নেই

রায়হান হত্যা মামলা পিবিআইতে স্থানান্তর

রায়হান হত্যা: দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের প্রাথমিক প্রতিবেদন হস্তান্তর

রায়হান হত্যা: ৪ পুলিশ সাময়িক বরখাস্ত, ৩ জন প্রত্যাহার

Comments

The Daily Star  | English

Election code breakers go unpunished

Election code violations are rampant ahead of the January 7 election, but the Election Commission has yet to take any punitive action against the rule breakers.

14h ago