ম্যারাডোনার জন্মদিন: যে ৫টি বিষয় জেনে আপনি বিস্মিত হবেন
ফুটবল বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা। আর এ খেলার সেরা খেলোয়াড় নির্বাচন করতে গেলে সবার আগেই আসবে দিয়েগো ম্যারাডোনার নাম। তবে ফুটবল জগতে তার অসাধারণ প্রতিভা যেমন প্রশংসিত হয়েছে, তেমনি নানা কাণ্ড ঘটিয়ে বিতর্কিতও হয়েছে। আর্জেন্টিনাকে প্রায় একাই একটি বিশ্বকাপ জিতিয়ে দিয়েছেন। এমনটা এর আগে করতে পারেনি কেউ, হয়তো ভবিষ্যতেও করা সম্ভব হবে না। আজ এ কিংবদন্তির জন্মদিন। তার ৬০তম জন্মদিনে ডেইলিস্টারের পাঠকদের জন্য ৫টি অজানা বিষয় তুলে ধরা হলো, যা আপনাকে বিস্মিত করতে পারে।
-আর্জেন্টিনার এভিটা পেরান হাসপাতালে ১৯৬০ সালের ৩০ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেছিলেন দিয়েগো আরমান্ডো ম্যারাডোনা। তার মা ডালমার তখন আরও একটি পুত্র ছিল, যার নাম তোতা। প্রসবের সময় নানা জটিলতার পর শেষপর্যন্ত যখন তার মা ডালমা প্রসব করতে পারেন, তখন সে (তোমা) চিৎকার করে বলেন, 'গোওওওওল!' আর ডাক্তার নবজাতককে নিয়ে ডালমাকে অদ্ভুত অভিনন্দন জানিয়ে বলেছিলেন, 'অভিনন্দন। আপনার আরও একটি সুস্থ ছেলে (তোতা) আছে এবং সে খাঁটি গাধা।'
-ছোটবেলায় যেখানে বাস করতেন সেই কুটির থেকে একরাতে পালিয়ে গিয়েছিলেন ম্যারাডোনা। ভিয়া ফিয়েরিতোর সে জায়গায় বিদ্যুৎ বা প্রবাহিত পানি কিছুই ছিল না। অন্ধকারে ছোট্ট ম্যারাডোনা একটি একটি কালো কূপে (মানুষের বর্জ্যের এক ধরণের সেপটিক ট্যাঙ্ক) পড়ে যান। পরে তার চাচা সিরিলো তাকে সেখান থেকে বের করে আনেন। উদ্ধার পাওয়ার আগ পর্যন্ত তার মাথাটি মলমূত্রের উপরে রাখার ব্যবস্থা করা হয়। ভাগ্যগুণেই সেদিন বেঁচে যান এ কিংবদন্তি।
-যখন ম্যারাডোনা বার্সেলোনায় যোগ দেন, তখন তিনি ছিলেন ক্লাবটি ইতিহাসে সর্বাধিক ব্যয়বহুল সাইনিং। কিন্তু ড্রেসিং রুমে মাত্র ২১ বছর বয়সী এ খেলোয়াড়কে নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন প্রায় সবাই। লকার রুমে ঢুকে ম্যারাডোনা সর্বপ্রথম যে কাজটি করেছিলেন, তা ছিল স্পোর্টস ব্যাগ খুলে নিজের মোজা বের করে গুলতি বানিয়ে সেটাকে মাটিতে না পড়তে দিয়ে একের পর এক স্পর্শ করতে থাকেন। অবাক হয়ে সকলে চুপ করে বসে রইলেন, সবার এক ধারণা, 'সে অবশ্যই খুব ভাল হবে।' আর কোনো সন্দেহ রইল না।
-ম্যারাডোনার কতজন সন্তান রয়েছে? এর উত্তরে তিনি একবার বলেছিলেন, 'ঈশ্বর জানেন। তবে আমার বৈধ বাচ্চারা হলেন ডালমা এবং জিয়ান্নিনা। বাকিগুলি আমার টাকা ও ভুলের পণ্য।' তবে প্রথম সন্তান ডালমার জন্মের আগে এক নাপোলিয়ান নারীর সঙ্গে সম্পর্কের কারণে একটি পুত্র সন্তান হয়। যার নাম দিয়েগো সিনেগ্রা। ২০১৬ সালের আগে এটা নিজেও জানতেন না ম্যারাডোনা। এছাড়া নাইট ক্লাবের ওয়েট্রেস ভ্যালোরিয়া সাবালাইনের সঙ্গে স্বল্প-সময়ের সম্পর্কে জানা নামের একটি মেয়েও রয়েছে। তার সবশেষ অফিসিয়াল সন্তানের নাম দিয়েগো ফের্নান্দো। ভেরোনিকা ওজেদার সঙ্গে ১০ বছরের সম্পর্কের পর তিনি অন্তঃসত্ত্বা হলে তাদের সম্পর্কের বিচ্ছেদ ঘটে।
-এল ক্লাসিকোর ম্যাচে ম্যারাডোনা রিয়াল মাদ্রিদ গোলরক্ষক আগুস্তিনকে কাটিয়ে পরে ফের ডিফেন্ডার হুয়ান হোসেকে কাটিয়ে গোল করেন। তার এ গোল দেখে রিয়াল সমর্থকরা তাকে দাঁড়িয়ে সম্মান জানান। প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়দের এভাবে সম্মান দেখানোর ব্যাপার ফুটবল ইতিহাসে খুবই বিরল। এল ক্লাসিকোতে এর আগে কখনোই দেখা যায়নি।
Comments