কোলনকে হারিয়ে শীর্ষেই রইল বায়ার্ন
প্রতিপক্ষ অপেক্ষাকৃত দুর্বল। তাই দলের সেরা বেশ কিছু তারকা খেলোয়াড়দের ছাড়াই মাঠে নেমেছিল জার্মান চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখ। তবে তাতেও জয় পেতে সমস্যা হয়নি দলটির। এফসি কোলনের বিপক্ষে ২-১ গোলের জয় তুলে নিয়েছে তারা। বুন্ডেসলিগায় এ নিয়ে টানা চতুর্থ জয়ে শীর্ষেই রয়েছে দলটি।
শনিবার কলনের মাঠে ম্যাচের ১৩তম মিনিটে বিতর্কিত একটি পেনাল্টি থেকে এগিয়ে যায় বায়ার্ন। লরে সানের ক্রস থেকে হেড দিয়েছিলেন সার্জ ন্যাব্রি। বল লাগে প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডার মারিয়ুস ওলফের হাতে। বল লক্ষ্য বরাবর না থাকলেও পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। আর সে সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে কোনো ভুল করেননি থমাস মুলার। সফল পেনাল্টিতে দলকে এগিয়ে দেন তিনি।
পাঁচ মিনিট পর সমতায় ফিরতে পারতো কোলন। ওন্দ্রেজ দুদার বাড়ানো বলে একেবারে ফাঁকায় বল পেয়েও বাইরে মারেন ইসমাইল জ্যাকব। ২৯তম মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর ভালো সুযোগ ছিল সানের। এরিক ম্যাক্সিম কুপো-মোটিংয়ের শট গোলরক্ষক ফেরালেও ফাঁকায় পেয়ে গিয়েছিলেন সানে। কিন্তু বলের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেননি তিনি।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে পাল্টা আক্রমণ থেকে ব্যবধান বাড়ায় বায়ার্ন। অসাধারণ এক গোল দেন ন্যাব্রি। নিজেদের অর্ধ থেকে বাড়ানো বল ধরে ডান প্রান্ত দিয়ে এগিয়ে দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে কোণাকোণি এক শটে লক্ষ্যভেদ করেন এ জার্মান তারকা। দ্বিতীয়ার্ধের পঞ্চম মিনিটে আরও একটি গোল পেতে পারতো তারা। অসাধারণ এক সেভ করেন কোলন গোলরক্ষক টিমো হর্ন। মুলার ক্রস থেকে ন্যাব্রির নেওয়া হেড ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন তিনি।
৫৬তম মিনিটে ডিফেন্ডারের ভুলে বাঁ প্রান্তে ফাঁকায় বল পেয়ে গিয়েছিলেন ইসমাইল। কিন্তু তার শট বাইরের জাল কাঁপায়। ৭১তম মিনিটে প্রায় গোল পেয়ে যাচ্ছিল কোলন। দুদার ক্রস থেকে দারুণ এক হেড নিয়েছিলেন ইসমাইল। কিন্তু একেবারে বারপোস্ট ঘেঁষে লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে হতাশা বাড়ে দলটি।
৮২তম ব্যবধান কমায় কোলন। জান থিয়েলমানের দূরপাল্লার শট ডমিনিক ড্রেক্সলারের পায়ে লেগে জালে জড়ায়। তবে অফসাইডের বাঁশি বাজিয়েছিলেন রেফারি। তবে ভিএআরে টিকে যায় সে গোল। এরপর সমতায় ফেরার চেষ্টা চালিয়েছিল দলটি। কিন্তু তারা আর গোলের দেখা না পেলে স্বস্তির জয় পায় বায়ার্ন।
৬ ম্যাচে ৫ জয়ে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে বায়ার্ন। দিনের অপর ম্যাচে ম্যাট হামেলের জোড়া গোলে আরমিনিয়া বেলেফিল্ডের বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে জয় পাওয়া বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের পয়েন্টও সমান ম্যাচে ১৫। কিন্তু গোল ব্যবধানে দ্বিতীয় স্থানে আছে দলটি।
Comments