হুট করে বড় কিছু নয়, ধাপে ধাপে এগুতে চান পারভেজ
ভারতের বিপক্ষে যুব বিশ্বকাপ ফাইনালে রান তাড়ায় পারভেজ হোসেন ইমন দেখিয়েছিলেন ঝলক। খেলেছিলেন ৪৭ রানের ভীষণ পরিণত এক ইনিংস। বাঁহাতি এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানে নাম ডাক এরপর থেকেই। এইচপি স্কোয়াডে থাকা এই তরুণের চোখও জাতীয় দলে। তবে সেই পথে বড় লাফ দিতে নারাজ তিনি।
যুব পর্যায় পেরিয়ে বড়দের সঙ্গেও খেলা হয়ে গেছে তার। সম্প্রতি হওয়া বিসিবি প্রেসিডেন্ট’স কাপে সুযোগ পেয়ে অবশ্য নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতে পারেননি। তবে তার মধ্যে যে আছে বড় ক্রিকেটার হওয়ার রসদ, ব্যাটিংয়ের ভাষায় অনেকবারই বুঝিয়েছেন তা।
ভালো টেকনিক, হাতে আছে শটের বাহার। খেলতে পারেন নান্দনিক ভঙ্গিমায়। পারেন উইকেটকিপিংও। নিশ্চয়ই আর সবার মতো আছে উপরের উঠার আশা। তবে কাঙ্খিত লক্ষ্য পূরণে অসময়ের লাফের চেয়ে ধাপে ধাপে সময় লাগিয়ে এগুতেই চোখ তার, ‘স্বপ্ন অবশ্যই জাতীয় দলে খেলা। ধাপে ধাপে এগোনোর চেষ্টা করছি। এখন এইচপিতে খেলছি, এরপর আরও ধাপ আছে, ‘এ’ দল। ধাপে ধাপে ওপরে ওঠার চেষ্টা করব।’
বাংলাদেশকে বিশ্ব মঞ্চের প্রথম বড় কোন শিরোপা এনে দেওয়ায় পারভেজদের ‘বিশ্বজয়ী’ হিসেবে একটা তকমা লেগেই গেছে। তবে সেসব সুখস্মৃতিতে বুঁদ হয়ে না থেকে সামনে তাকানেই মন দিয়েছেন তিনি, ‘ওটা (যুব বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন) থাকবেই, অনেক বড় সাফল্য আমাদের জন্য। তবে যেটা হয়ে গেছে, তা শেষ। এখন সামনের দিকে তাকাচ্ছি।’
এইচপি ক্যাম্পে পারভেজের মতো তরুণদের শান দিতে চায় বিসিবি। পারভেজও সুযোগটা কাজে লাগিয়ে নিজেকে তৈরি করতে আছেন মুখিয়ে, ‘ভালো লাগছে (এইচপি ক্যাম্পে), অনূর্ধ্ব-১৯ থেকে এটা আলাদা লাগছে। অনেক কোচ এসেছেন। ভালো ভালো টেকনিক শেখাচ্ছেন। যেটা আমাদের ভবিষ্যতের জন্য ভালো হবে। ওই টেকনিকগুলো নেওয়ার চেষ্টা করছি। ব্যাটিং নিয়ে ভালো কাজ করছি। কিপিং নিয়ে মুর্তজা স্যারের (বিসিবির কোচ) সঙ্গে কাজ করছি।’
Comments