চূড়ান্ত ফল কখন জানা যাবে?

যুক্তরাষ্ট্রে ভোট গ্রহণের শেষে গণনা চলছে। ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন শেষে ভোট গণনা চলছে। সবাই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল জানার জন্যে। কিন্তু, কখন জানা যাবে সেই কাঙ্খিত ফল?

আজ বুধবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সাধারণত নির্বাচনের রাতেই ফল পাওয়া যায় না।

কখন জানা যাবে ফলাফল?

যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্যে ভোটগ্রহণ শেষ হয় ভিন্ন ভিন্ন সময়ে। তাই সব রাজ্যে একই সময়ে ভোট গণনার কাজ শেষ হয় না। তবে বেশি সংখ্যক ভোটের প্রাথমিক হিসাব হাতে এলে তখন ধারণা করা যায় কে জয়ী হচ্ছেন। মনে রাখতে হবে এটি কোনো চূড়ান্ত ফল নয়।

শুধুমাত্র বেশি সংখ্যক ভোট পেলেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়া যায় না। জিততে হয় বেশি সংখ্যক রাজ্যেও।

বিজয়ীকে রাজ্যগুলোর নির্দিষ্ট সংখ্যক ইলেকটরাল ভোটও পেতে হয়। জনসংখ্যার আনুপাতিক হারের ওপর ভিত্তি করে হয় ইলেকটরাল ভোট। দেশটিতে মোট ৫৩৮ জন ইলেকটর রয়েছেন। তারা একটি করে ভোট দেন। সেই হিসাবে মোট ইলেকটরাল ভোট ৫৩৮টি।

প্রেসিডেন্টকে বিজয়ী হতে এই সংখ্যক ভোটের অধিকাংশ তথা অন্তত ২৭০টি ভোট পেতে হয়। ২০১৬ সালের নির্বাচনের পরদিন ভোররাত ২টা ৩০ মিনিটে ট্রাম্পকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছিল। কারণ, সে সময়ের মধ্যেই তিনি ২৭০টি ইলেকটরাল ভোট পেয়ে গিয়েছিলেন।

এ বছর পার্থক্য কোথায়?

করোনা মহামারির কারণে অন্যান্য যে কোনো বছরের তুলনায় এ বছর বেশি মানুষ আগেই ভোট দিয়েছেন। অনেকেই ভোট দিয়েছেন ডাকযোগে।

ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মিখাইল ম্যাকডোনাল্ডের বরাত দিয়ে গণমাধ্যম ইউএস টুডে জানায়, যুক্তরাষ্ট্রে ১৮ বা এর বেশি বয়সের মানুষের সংখ্যা ২৫ কোটি ৭০ লাখ। তাদের মধ্যে ২৪ কোটি মানুষ এ বছর ভোট দেওয়ার যোগ্য।

নিউইয়র্ক টাইমস জানায়, অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর রেকর্ড সংখ্যক ১০ কোটির বেশি ভোটার আগাম ভোট দিয়েছেন। এ ভোটগুলো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হাতে সময় মতো নাও আসতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হয়েছে।

ডাকযোগে দেওয়া ভোটগুলো গুণতে তুলনামূলকভাবে বেশি সময় লাগে। কেননা, সেই ভোটগুলো জাল কী না তা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করতে হয়।

যে সব রাজ্য আগে ডাকযোগে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিল সেসব রাজ্যে আগে ভোট গণনা করা সম্ভব হয়েছে।

আর কী কারণে ভোট গুণতে দেরি হয়?

প্রায় অর্ধেক সংখ্যক রাজ্যে ডাকযোগে দেওয়া ভোটগুলো গুণতে শুরু হবে নির্বাচনের পর। অনেকে আবার ডাকযোগে ভোট দিবেন বলে সিদ্ধান্ত নিলেও পরে তা পরিবর্তন করেন। তারা স্বশরীরে ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে ভোট দেন। তারা যেন দুই বার ভোট দিতে না পারেন তাও যাটাই করতে সময় লেগে যায়।

কিভাবে ভোট গোনা হয়?

অধিকাংশ ভোটই গোনা হয় মেশিনে। মেশিনে সমস্যা হলে নির্বাচন কর্মীরা ভোট গোনেন।

ভোট নেওয়া শেষ হলে সেই তথ্য চলে যায় সেখানকার নির্বাচন সদরদপ্তরে। তারপর তা প্রকাশ করা হয় রাজ্যের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে।

যখন কোনো রাজ্যে কোনো প্রার্থী তার প্রতিদ্বন্দ্বীর তুলনায় বেশি ভোট পান তখন গণমাধ্যমগুলো তাকে সেই রাজ্যে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হিসেবে সংবাদ পরিবেশন করে।

ফল নিয়ে বিতর্ক হলে?

স্ট্যানফোর্ড-এমআইটির সুস্থ নির্বাচন প্রকল্পের হিসাব মতে, মহামারির কারণে ইতোমধ্যে ৪৪টি রাজ্যে ৩০০ বেশি নির্বাচনী মামলা হয়েছে।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এরই মধ্যে বলে দিয়েছেন যে নির্বাচনের ফল সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়াতে পারে।

Comments

The Daily Star  | English

JP central office vandalised, set ablaze

A group of unidentified people set fire to the central office of Jatiyo Party in Dhaka's Kakrail area this evening

1h ago