ট্রাম্প কেন ভোট গণনা বন্ধের হুমকি দিলেন?

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের ভোট গণনা শুরুতে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পিছিয়ে থাকলেও সময় যতো ঘনাচ্ছে ততোই তার প্রতিপক্ষ ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেনের সঙ্গে লড়াই জমে উঠছে।
অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ (বামে) অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন (ডানে)

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের ভোট গণনা শুরুতে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পিছিয়ে থাকলেও সময় যতো ঘনাচ্ছে ততোই তার প্রতিপক্ষ ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেনের সঙ্গে লড়াই জমে উঠছে।

এরই মধ্যে হোয়াইট হাউজ থেকে ভাষণ দিয়ে ট্রাম্প জয়ের ব্যাপারে শক্ত আশাবাদ জানিয়ে বলেছেন, ‘বলতে গেলে আমি জিতেই গেছি।’

ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমাদের লাখো ভোটারকে বঞ্চিত করার চেষ্টা হচ্ছে। লাখ লাখ মানুষ আমাদের ভোট দিয়েছে। কিন্তু একদল হাতাশাগ্রস্ত মানুষ আমাদের ভোটারদের বঞ্চিত করার চেষ্টা করছে।’

জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুললেও সুনির্দিষ্ট কোনো ঘটনা উল্লেখ করতে পারেননি ট্রাম্প।

যুক্তরাষ্ট্রে এখন মূলত পোস্টাল ব্যালট গণনা চলছে। এই নির্বাচনে বিপুল সংখ্যক ভোটার পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিয়েছেন। এতেই নির্ধারিত হতে পারে ইলেক্টোরাল কলেজে ভোটের পাল্লা কার ভারি হবে। ধারণা করা হচ্ছে পোস্টাল ব্যালটে বাইডেন অনেকটা এগিয়ে থাকবেন।

অনিশ্চিত এই পরিস্থিতিতে সংক্ষিপ্ত ভাষণে ট্রাম্প বলেছেন যে তিনি প্রয়োজনে সুপ্রিম কোর্টে যাবেন ভোট গণনা বন্ধ করতে।

গণনার শেষ পর্যায়ে এসে কেন এই হুমকি দিলেন ট্রাম্প? বিষয়টি নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক দুই চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলেছে ডেইলি স্টার।

অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ট্রাম্প এর আগেও বলেছেন যে তিনি আদালতে যাবেন। হেরে যাবার শঙ্কা থেকেই মূলত তিনি এ ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন। আমাদের দেশে যেটা হয় যে আগে থেকেই এক ধরনের শঙ্কা প্রকাশ করে মারামারির দিকে যায়।

‘এখন তো স্টেটগুলোতে ভোট গণনা চলছে। ট্রাম্প হয়তো আঁচ করতে পেরেছেন যে পোস্টাল ব্যালটের ভোট গণনায় বাইডেন এগিয়ে যাবে। সে কারণেই তিনি এই হুমকি দিয়ে রেখেছেন।’

‘ট্রাম্পের উদ্দেশ্য হলো যদি নির্বাচনে হেরে যায় তবে তিনি আদালতে যাবেন এবং পুরো নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করবেন’, যোগ করেন অধ্যাপক ইমতিয়াজ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন মনে করেন, ট্রাম্প নিজেকে বিজয়ী বলে ঘোষণা করতে পারেন না কারণ এর কোন আইনগত ভিত্তি নেই।

‘আর তিনি যে হুমকি দিয়েছেন, সেটার পিছনে দুটো কারণ থাকতে পারে। প্রথমত, তিনি তার সমর্থকদের উজ্জীবিত রাখতে চেয়েছেন এবং দ্বিতীয়ত তিনি নির্বাচন প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করার একটা চেষ্টা করেছেন।’

অধ্যাপক দেলোয়ার মনে করছেন, সুইং স্টেটগুলোর ফলাফল আসলেই পরিষ্কার হবে কে হচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট।

Comments

The Daily Star  | English

The morale issues of Bangladesh Police

There is no denying that for a long time, the police have been used as a tool of repression in the subcontinent

2h ago