ফিরেই বার্সাকে রক্ষা করলেন টের স্টেগেন

ছবি: টুইটার

অসাধারণ খেলেছেন অধিনায়ক লিওনেল মেসি। গোলও দিয়েছেন। দারুণ এক গোল দিয়েছেন জেরার্দ পিকেও। কিন্তু তারপরও বার্সেলোনার ম্যাচ জয়ের নায়ক তারা নন। নায়ক গোলরক্ষক মার্ক-আন্দ্রেস টের স্টেগেন। অথচ আড়াই মাসেরও বেশি সময় পর মাঠে ফিরলেন তিনি। আর ফিরেই দলের হার ঠেকালেন। চারটি অবিশ্বাস্য সেভ করেছেন এ জার্মান তারকা। যার প্রত্যেকটিই গোল হতে পারতো। ফলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জয়ের ধারা অব্যাহত রেখেছে স্প্যানিশ দলটি।

ক্যাম্প ন্যুতে বুধবার রাতে ডায়নামো কিয়েভকে ২-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে বার্সেলোনা।

৩৫তম মিনিটে ভিতালি বুয়ালস্কি, ৪৬তম মিনিটে ভিক্তর টিসিগানকভ, ৫৩তম মিনিটে ভ্লাদিস্লাভ সুপ্রিয়াহা এরপর ৬৭তম মিনিটে ফের টিসিগানকভ। প্রতিবারই তারা টের স্টেগেনকে একা পান। আর প্রতিবারই তাদের হতাশ করেন এ জার্মান গোলরক্ষক। মূলত এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই অবিশ্বাস্য সব সেভ করে আসছিলেন টের স্টেগেন।

৭৫তম মিনিটে যে গোলের দেখা পায় ডায়নামো, সেটাও প্রায় ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন টের স্টেগেন। বেঞ্জামিন ভারবিচের শট ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন। তবে আলগা বল একেবারে ফাঁকা পোস্টে পেয়ে যান টিসিগানকভ। তার শট আর ঠেকাতে পারেননি বার্সা গোলরক্ষক।

তবে শুধু যে বার্সা গোলরক্ষক স্টেগেনই দারুণ সেভ করেছেন তা নয়, অবিশ্বাস্য কিছু সেভ করেছেন ডায়নামো কিয়েভ গোলরক্ষক রুসলান নেসচেরেতকেও। ৫৬তম মিনিটে মেসিকে হতাশ করেন তিনি। ফ্রিকিক থেকে অসাধারণ এক শট নিয়েছিলেন এ আর্জেন্টাইন। কিন্তু অসাধারণ দক্ষতায় তার শট ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন এ গোলরক্ষক। এটাকে মৌসুমের সেরা সেভ বললেও কোনো অংশে ভুল বলা হবে না। ৬৪তম একেবারে গোলমুখ থেকে বদলি খেলোয়াড় সের্জিও রোবার্তোর হেড ঠেকিয়ে দিয়েছেন এ ইউক্রেনিয়ান গোলরক্ষক। অথচ এ  ম্যাচে খেলারই কথা ছিল না তার। নিয়মিত গোলরক্ষক জর্জ বুশান ইনজুরিতে পড়ায় সুযোগ পেয়ে যান তিনি।

এদিন ম্যাচের পঞ্চম মিনিটেই এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। সফল স্পটকিকে দলকে এগিয়ে দেন মেসি। বল নিয়ে ডি-বক্সে ঢোকার মুখে তাকে ডেনিস পোপভ ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। চলতি মৌসুমে এটা তার পঞ্চম গোল। বার্সার জার্সিতে চতুর্থ। আর এ সবগুলো গোলই এসেছে পেনাল্টি থেকে। 

তবে এদিন কিছুটা দুর্ভাগাও ছিলেন বার্সার খেলোয়াড়রা। সপ্তম মিনিটে পেদ্রির শট বারপোস্টে লেগে ফিরে আসে। পরের মিনিটে তো একে বারে ফাঁকা পোস্ট পেয়েও গোল দিতে পারেননি আতোঁয়ান গ্রিজমান। আনসু ফাতির শট গোলরক্ষক ঝাঁপিয়ে ঠেকালেও আলগা বল পেয়ে যান এ ফরাসি। কিন্তু অবিশ্বাস্যভাবে বাইরে মারেন তিনি।

১৭তম মিনিটে ফাতির সঙ্গে দেওয়া নেওয়া মেসির কোণাকোণি শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট না হলে মৌসুমের প্রথম ফিল্ড গোল পেতে পারতেন মেসি। ৪২তম মিনিটে ডেস্টের কাটব্যাক থেকে পেদ্রির শট ঠেকিয়ে দেন ডায়নামো গোলরক্ষক। পরের মিনিটে মেসির শট একেবারে বারপোস্ট ঘেঁষে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৪৫তম মিনিটে ফাতির গোড়ানো শট ঝাঁপিয়ে পরে ঠেকিয়ে দেন নেসচেরেতকে।

৬৫তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে বার্সা। আনসু ফাতির ক্রস থেকে লাফিয়ে উঠে দারুণ এক হেডে বল জালে জড়ান পিকে। পরের মিনিটে চার ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েছিলেন মেসি। তবে জোরালো শট নিতে পারেননি। নয় মিনিট পর তার উচ্চবিলাসী শট বারপোষ্টের অনেক উপর দিয়ে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৮০তম মিনিটে বাঁ প্রান্ত থেকে বদলি খেলোয়াড় উসমান দেম্বেলের বুলেট গতির শট ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন ডায়নামো গোলরক্ষক।

শেষ দিকে বেশ কিছু সুযোগ ছিল বার্সেলোনার। কিন্তু কোনো গোল আদায় করে নিতে ব্যর্থ হওয়ায় ২-১ গোলের জয় নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাদের।

 

Comments

The Daily Star  | English
Nat’l election likely between January 6, 9

EC suspends registration of AL

The decision was taken at a meeting held at the EC secretariat

2h ago