‘ঘটনাটাই এমন যে কারো সন্দেহ জাগতে পারে’

shakib al hasan
ফাইল ছবি: ফিরোজ আহমেদ

জুয়াড়ি তিনবার যোগাযোগ করলেও আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিটকে অবহিত করেননি, দেখা করারও আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। সাকিব আল হাসান নিষিদ্ধ হয়েছিলেন এই ধরনের অনৈতিক প্রস্তাব গোপন করায়। কোনো ধরনের ফিক্সিংয়ের অভিযোগ তার বিরুদ্ধে ছিল না। তবে বিষয়টি স্পর্শকাতর বলেই সাকিব মনে করছেন, সতীর্থ ক্রিকেটারদের মধ্যে তার ব্যাপারে জাগতে পারে সন্দেহ। তবে নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরা দেশসেরা ক্রিকেটারের আশাবাদ, তেমনটা হবে না। একে অন্যের প্রতি বিশ্বাস নিয়ে ফের মাঠে বাংলাদেশের হয়ে লড়তে পারবেন তারা।

জুয়াড়ি দীপক আগারওয়ালের সঙ্গে যোগাযোগের কথা গোপন করায় ২০১৯ সালের ২৯ অক্টোবর এক বছরের নিষেধাজ্ঞা পান সাকিব। তখন প্রকাশিত আইসিসির পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনে সাকিবের দোষ ব্যাখ্যা করা হয়। যাতে রয়ে যায় অনেক প্রশ্নের অবকাশ।

আরও পড়ুন: জুয়াড়ির সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন সাকিব, মুছে দিয়েছিলেন হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা

বুধবার রাতে ভক্ত ও সাংবাদিকদের প্রশ্ন নিয়ে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে সরাসরি হাজির হয়েছিলেন সাকিব। সতীর্থদের বিশ্বাস আগের মতো পাবেন কিনা, এমন এক প্রশ্ন রাখা হয়েছিল ওয়ানডের শীর্ষ অলরাউন্ডারকে।

জবাবে সাকিবও সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি, তবে এত দিনের সম্পর্কের দৃঢ়তার কারণেই ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তার, ‘একটু কঠিন প্রশ্ন। আসলে কার মনের ভেতরে কী আছে, বলাটা মুশকিল। সন্দেহ হতেই পারে, অবিশ্বাস তৈরি হতেই পারে। তবে যেহেতু নিয়মিতই আমার সবার সঙ্গেই যোগাযোগ ছিল, কথাও হয়েছে, আশা করি, এই জায়গাতে সমস্যা হবে না। তবে আপনি যেটা বললেন, করতেই (সন্দেহ) পারে। সেটা নিয়ে আফসোস করব না। তবে ঘটনাটাই এমন, যে কারো মনের কোণে একটা সন্দেহ জাগতেই পারে। আমার সবার প্রতি বিশ্বাস ছিল। সেটা থাকবে।’

নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে সাকিব ফেরার পর বাংলাদেশ জাতীয় দলের প্রায় সব ক্রিকেটারই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে স্বাগত জানিয়ে পোস্ট দিয়েছেন। 

Comments

The Daily Star  | English
Nat’l election likely between January 6, 9

EC suspends registration of AL

The decision was taken at a meeting held at the EC secretariat

10h ago