ঈশান, সূর্যকুমারদের ঝড়ের পর দুর্ধর্ষ বোমরাহ, ফাইনালে মুম্বাই
অধিনায়ক রোহিত শর্মার বিদায়ের পর কুইন্টেন ডি কক-সূর্যকুমার যাদব মিলে এনে দিলেন ঝড়ো শুরু। মাঝে পথ হারানোর পর ঈশান কিশান ধরলেন হাল। শেষ দিকে তাণ্ডব এলো হার্দিক পান্ডিয়ার ব্যাটে। শেষ ৪ ওভারে ৬০ রান উঠিয়ে দুশোর চুড়ায় উঠে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। বল হাতে পেয়েই দিল্লি ক্যাপিটালসকে ধসিয়ে দেন ট্রেন্ট বোল্ট- জাসপ্রিট বোমরাহ।
বৃহস্পতিবার দুবাইতে প্রথম কোয়ালিফায়ার হয়েছে একপেশে। দিল্লি ক্যাপিটালসকে ৫৭ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। আগে ব্যাটিং পেয়ে মুম্বাই ৫ উইকেটে করে ঠিক ২০০ রান। দিল্লি ক্যাপিটালস ধুঁকে মরে থেমেছে ৮ উইকেটে ১৪৩ রানে । আইপিএলে নিজের সেরা ফিগার করে বোমরাহ ৪ ওভারে মাত্র ১৪ রান দিয়ে নিয়েছেন ৪ উইকেট। এই ম্যাচ হারলেও ফাইনালে যাওয়ার আরেকটা সুযোগ থাকছে রিকি পন্টিংয়ের শিষ্যদের। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর-সানরাইজার্স হায়দরবাদের মধ্যে এলিমিনেটর জয়ীদের বিপক্ষে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার খেলবে তারা।
২০১ রানের তাড়ায় নেমে ট্রেন্ট বোল্টের প্রথম ওভারেই ২ উইকেট হারায় দিল্লি। পৃথ্বী শ ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে, আজিঙ্কা রাহানে হন এলবিডব্লিউ। দ্বিতীয় ওভারে বল হাতে নিয়েই শিখর ধাওয়ানকে দারুণ ইয়র্করে বোল্ড করে দেন বোমরাহ। কোন রান তোলার আগেই তখন ৩ উইকেট নেই ক্যাপিটালসদের। চতুর্থ ওভারে এসে বোমরাহ ফিরিয়ে দেন শ্রেয়াস আইয়ারকেও।
চূড়ান্ত বিব্রতকর দশা তখন দিল্লির। ঋষভ পান্ত সেই অবস্থা থেকে দলকে স্বস্তি দিতে পারেননি। বাজে শটে তিনিও বিদায় নিলে অর্ধশত রানের আগেই অর্ধেক ইনিংস ফুরিয়ে যায় দিল্লির।
অক্ষর প্যাটেলকে নিয়ে স্রোতের বিপরীতে ঢেউ বইয়েছিলেন মার্কাস স্টয়নিস। বোমরাহ-বোল্ট দুজনেই আক্রমণ থেকে সরে গেলে চাপও কিছুটা হালকা হয়েছিল। ওভারপ্রতি রানরেটের চাহিদা তখন চড়া। স্টয়নিস আইপিএলে তার সেরা ইনিংসটা খেলে অসম্ভবের আভাস দিতেই ফের হাজির বোমরাহ।
৪৬ বলে ৬৫ করা স্টয়নিস স্টাম্প খোয়ান বোমরাহর ভেতরে ঢোকা বলে। ওই ওভারেই ড্যানিয়েল স্যামসকে ছেঁটে চতুর্থ উইকেটও নিয়ে নেন তিনি।
এর আগে মুম্বাইর রানের চাকা দৌড়েছে চার ব্যাটসম্যানের নৈপুণ্যে। রোহিতের সঙ্গে ওপেন করতে গিয়ে ডি কক ২৫ বলে আউট হন ৪০ রান করে। ওয়ানডাউনে তার সঙ্গে ৬২ রানের জুটি পাওয়া সূর্যকুমার যাদব আবার দেখিয়েছেন নিজের সামর্থ্য। দুর্দান্ত সব শটে দলের বড় রানের ভিত আসে তার ব্যাটে। ৩৮ বলে ৫১ করে তিনি ফেরার পর কাইরন পোলার্ড, ক্রুনাল পান্ডিয়ারা দ্রুত আউট হলে থমকে গিয়েছিল মুম্বাইর রানের চাকা। তা আবার তরতর করে বাড়িয়ে দেন ঈশান-হার্দিক জুটি। শেষ ৪ ওভারে তাদের তাণ্ডবে ৬০ রান উঠিয়ে দুশো স্পর্শ করে ফেলে মুম্বাই। ৩০ বল ৫৫ করে ৪ বাউন্ডারি, ৩ ছক্কায় ৫৫ করেন ঈশান। হার্দিক চার মারার দিকে আর মন দেননি। ১৪ বল খেলে ৫ ছক্কায় এই অলরাউন্ডার করে ফেলেন ৩৭ রান। তাদের এই জুটিই মূলত দিল্লির কাছ থেকে মোমেন্টাম নিয়ে যায় মুম্বাইর দিকে।
Comments