গুয়াতেমালায় ঝড়ে অন্তত ১৫০ জনের মৃত্যু, বহু ক্ষয়ক্ষতি
গুয়াতেমালায় ঝড়ে কমপক্ষে ১৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বিবিসি জানায়, গুয়াতেমালার আলতা ভেরাপাজের কুইজা অঞ্চলে সেনাবাহিনীর উদ্ধারকাজ চলছে। ওই প্রত্যন্ত গ্রামটিতে মুষলধারে বৃষ্টিপাতের কারণে কয়েক ডজন বাড়ি মাটি চাপা পড়েছে।
প্রেসিডেন্ট আলেজান্দ্রো গিয়ামাত্তে জানান, ওই অঞ্চলে অন্তত এক শ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। খারাপ আবহাওয়ার কারণে উদ্ধারকাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। রাস্তা এখনো অবরুদ্ধ এবং পুরো অঞ্চল বন্যায় প্লাবিত হয়েছে।
এর আগে, কর্তৃপক্ষ দেশটিতে কমপক্ষে ৫০ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে।
মঙ্গলবার ঝড় ‘এটা’র কবলে প্রতিবেশী দেশ নিকারাগুয়ায় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২২৫ কিলোমিটার। সেসময় ভারী বৃষ্টিপাতও হয়েছে।
প্রতিবেশি দেশ হন্ডুরাস ও পরে গুয়াতেমালার ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় ‘ক্যাটাগরি ফোর’র হ্যারিকেনটি কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়ে।
প্রেসিডেন্ট গিয়ামাত্তে জানান, উদ্ধার অভিযানের জন্য মাত্র একটি হেলিকপ্টার থাকার কারণে দেশটিতে উদ্ধার প্রচেষ্টায় সীমাবদ্ধতা আছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের অনেক লোক আটকা পড়েছে, যাদের কাছে আমরা পৌঁছাতে পারিনি।’
অনেক এলাকায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। প্রেসিডেন্ট গিয়ামাত্তে কুইজা অঞ্চলের পরিস্থিতিকে ‘জটিল’ বলে উল্লেখ করেছেন। ওই এলাকা থেকে এখনো কোনো মরদেহ উদ্ধার করা যায়নি।
প্রতিবেশী দেশ হন্ডুরাসেও কমপক্ষে ১০ জন মারা গেছে বলে জানা গেছে। এ ছাড়াও, কয়েক শতাধিক মানুষ বন্যাকবলিত অঞ্চল থেকে উদ্ধারের অপেক্ষায় আছেন।
সান পেড্রো সুলা শহরতলির লা লিমাতে বসবাসকারী ৪৮ বছর বয়সী ওয়েন্দি মুনগুয়া ফিগুয়েরো বার্তাসংস্থা এপিকে বলেন, ‘রাস্তায় আমাদের ঘাড় পর্যন্ত পানি থাকায় আমরা আমাদের বাড়ির ছাদ থেকে নামতে পারছি না।’
হন্ডুরাসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিসান্দ্রো রোসেলস এক টুইটে বলেন, ‘ঝড়টি আমাদের যে ধ্বংস-বিধ্বস্ত করেছে, তা বিস্ময়কর। জনসাধারণের আর্থিক অবস্থা কোভিড-১৯ এর কারণে এখনো এক জটিল মুহূর্তে আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দ্রুত পুনরুদ্ধার ও পুনর্গঠনের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আহ্বান জানাই।’
Comments