ধাওয়ান, হেটমায়ার, স্টয়নিসের নৈপুণ্যে ফাইনালে দিল্লি
গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ফের জ্বলে উঠলেন শিখর ধাওয়ান। দারুণ এক ইনিংস খেললেন তিনি। শেমরন হেটমায়ার নেমে ঝড় তুলে রান নিয়ে গেলেন চূড়ায়। মার্কাস স্টয়নিস দেখালেন অলরাউন্ড নৈপুণ্য, কাগিসো রাবাদা রাখলেন বল হাতে অবদান। রান তাড়ায় বিপর্যয়ের মধ্যে কেইন উইলিয়ামসনের আরেকটি দুর্দান্ত প্রচেষ্টা তাই শেষ পর্যন্ত ভেস্তে গেল, আব্দুল সামাদের ঝড়ও গেল বিফলে। প্রথমবার আইপিএলের ফাইনালে উঠে গেল দিল্লি ক্যাপিটালস।
রোববার রাতে আবুধাবিতে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ১৭ রানে হারিয়ে প্রথম শিরোপার কাছে চলে গেছে দিল্লি ক্যাপিটালস। ১০ নভেম্বর ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ বর্তমান চ্যাম্পিয়ন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।
আগে ব্যাট করে ধাওয়ানের ৫০ বলে ৭৮, হেটমায়ারের ২২ বলে ৪২ রানে ভর করে ১৮৯ রান করেছিল দিল্লি। ৪৪ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর উইলিয়ামসনের মুন্সিয়ানায় ঘুরে দাঁড়ানো সানরাইজার্স থেমেছে ১৭২ রানে। অনেকের মুন্সিয়ানার ম্যাচে দিল্লির আসল নায়ক স্টয়নিস। এই অসি অলরান্ডার ব্যাটিংয়ে ওপেন করে ২৭ বলে ৩৮ করার পর বল হাতে ২৬ রানে ৩ উইকেট নেন।
১৯০ রানের বড় লক্ষ্যে অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার ফেরেন শুরুতেই। দ্বিতীয় ওভারেই তাকে ইয়র্কারে বোল্ড করে দেন রাবাদা। এক ওভারেই তরুণ প্রিয়ম গার্গ আর ছন্দে থাকা মানিষ পান্ডেকে ছেঁড়ে বড় আঘাত দেন স্টয়নিস। এরপর জেসন হোল্ডারকে এক পাশে রেখে খেলা ঘুরিয়ে দিচ্ছিলেন উইলিয়ামসন। ৪৪ রানের জুটির পর হোল্ডার ফেরত গেলে তার সঙ্গে যোগ দেন আব্দুল সামাদ।
বিস্ফোরক এই ব্যাটসম্যান আনেন নতুন গতি। চার-ছয়ে রান বাড়ে দ্রুত। কঠিন সমীকরণ হতে থাকে সহজ। ৫৭ রানের জুটির পর উইলিয়ামসনের আউটে ফের ঘুরে ম্যাচের মোড়। ফের ওই ম্যাচের মোড় ঘোরানোর কারিগর স্টয়নিস। ৪৫ বলে ৫ চার, ৪ ছক্কায় ৬৭ করে স্টয়নিসের শিকার হন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক। সামাদও আশা জাগিয়ে নেভেন খানিক পর। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান ১৬ বলে ৩৩ করে ক্যাচ দেন রাবাদার বলে।
ওই ওভারে ৩ উইকেট নিয়ে ওয়ার্নারদের সব সম্ভাবনা শেষ করে দেন দক্ষিণ আফ্রিকান পেসার।
এর আগে ব্যাটিং বেছে নিয়ে ওপেনিংয়ে চমক দেখায় দিল্লি। ধাওয়ানের সঙ্গে নামেন স্টয়নিস। ৮৬ রানের জুটি আনেন তারা। দলকে ভালো শুরু পাইয়ে ২৭ বলে ৩৮ করে ফেরেন স্টয়নিস। অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার ২০ বলে ২১ করে ফিরে গেলে দলের রান দুশোর কাছে নেওয়ার পুরো কৃতিত্ব হেটমায়ারের। এই ক্যারিবিয়ান বাঁহাতি নিজেদের স্টাইলেই বাড়িয়েছেন রান। ২২ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় করে ফেলেন ৪২। শেষ দিকে তার এই ঝড় দিল্লিকে নিয়ে যায় নিরাপদ পূঁজিতে।
Comments