লিভারপুল-ম্যানসিটি ম্যাচে কেউ হারেনি

প্রতিপক্ষ বর্তমান চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল। কিন্তু চলতি মৌসুমে সেরা ছন্দে নেই দলটি। যদিও সেরা ছন্দে নেই ম্যানচেস্টার সিটিও। তারপরও ঘরের মাঠে ভালো কিছু আশা প্রত্যাশা করেছিল তারা। জয় পেলে সেরা দশে ঢোকার সুযোগ ছিল তাদের। সে সুযোগও পেয়েছিল তারা। কিন্তু সফল হতে না পারায় লিভারপুলের সঙ্গে ড্র মেনেই মাঠ ছাড়তে হয়েছে পেপ গার্দিওলার শিষ্যদের।
ছবি: টুইটার

প্রতিপক্ষ বর্তমান চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল। কিন্তু চলতি মৌসুমে সেরা ছন্দে নেই দলটি। যদিও সেরা ছন্দে নেই ম্যানচেস্টার সিটিও। তারপরও ঘরের মাঠে ভালো কিছু আশা প্রত্যাশা করেছিল তারা। জয় পেলে সেরা দশে ঢোকার সুযোগ ছিল তাদের। সে সুযোগও পেয়েছিল তারা। কিন্তু সফল হতে না পারায় লিভারপুলের সঙ্গে ড্র মেনেই মাঠ ছাড়তে হয়েছে পেপ গার্দিওলার শিষ্যদের।

ম্যানচেস্টারের ইতিহাদ স্টেডিয়ামে রোববার লিভারপুর ও ম্যানচেস্টার সিটির ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়। লিভারপুলের হয়ে গোলটি করেন মোহামেদ সালাহ। গ্যাব্রিয়েল জেসুস গোল করেছেন সিটির হয়ে।

এদিন ম্যাচের ১৩তম মিনিটে সফল স্পটকিক থেকে লিভারপুলকে এগিয়ে দেন সালাহ। ডি-বক্সের মধ্যে সাদিও মানেকে সিটি ডিফেন্ডার কাইল ওয়াকার ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। তবে ২৫তম মিনিটে সমতায় ফিরতে পারতো সিটি। অবিশ্বাস্য এক মিস করেন রহিম স্টার্লিং। প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারের ভুলে বিপজ্জনক জায়গায় বল পেয়ে ডি-বক্সে দারুণ এক পাস দিয়েছিলেন কেভিন ডি ব্রুইন। কিন্তু বল ধরে শট নিতে দেরি করে ফেলেন। যা করলেন তাও গোলরক্ষক বরাবর। ফলে সমতায় ফেরার সহজ নষ্ট হয় স্বাগতিকদের।

তবে সমতায় ফিরতে খুব বেশি সময় নেয়নি দলটি। ৩১তম মিনিটে সমতায় ফেরে তারা। কাইল ওয়াকারের কাছ থেকে বল ধরে ডি-বক্সে জেসুসকে পাস দেন ডি ব্রুইন। তার বাড়ানো বল দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে জালে পাঠান এ ব্রাজিলিয়ান। দুই মিনিট পর এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল তাদের। কিন্তু ডি ব্রুইনের নেওয়া দূরপাল্লার শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।

৪২তম মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সহজ সুযোগ নষ্ট করে সিটি। স্পটকিক থেকে গোল আদায় করে নিতে পারেননি ডি ব্রুইন। তার শট লক্ষ্যেই থাকেনি। ডি-বক্সের মধ্যে ডি ব্রুইনের শট জোসেফ গোমেজ হাত দিয়ে ঠেকালে ভিএআরের সাহায্য নিয়ে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।

পরের মিনিটে পিছিয়ে পড়তে তারা। এ যাত্রা তাদের রক্ষা করেন গোলরক্ষক এদেরসন। সালাহ বাড়ানোর বল থেকে কোণাকোণি শট নিয়েছিলেন দিয়াগো জতা। ঝাঁপিয়ে তার শট ঠেকিয়ে দেন সিটি গোলরক্ষক। যদিও প্রথম দফায় ঠিকভাবে ধরতে পারেননি। দ্বিতীয় দফায় ধরলে কোনো বিপদ হয়নি। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে ফ্রিকিক থেকে নেওয়া আলেকজান্ডার-আর্নল্ডের শট অল্পের জন্য বারপোষ্টের উপর দিয়ে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।

৪৯তম মিনিটে এগিয়ে যেতে পারতো সফরকারীরা। রবার্টসনের শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান গোলরক্ষক এদেরসন। পরের মিনিটে সুযোগ ছিল স্বাগতিকদেরও। ডি ব্রুইনের কাছ থেকে বল পেয়ে দারুণ শট নিয়েছিলেন জেসুস। কিন্তু ঝাঁপিয়ে পড়ে তা ঠেকিয়ে দেন লিভারপুল গোলরক্ষক অ্যালিসন বেকার। 

পাঁচ মিনিট পর এগিয়ে যাওয়ার দারুণ সুযোগ করে স্বাগতিকরা। হোয়াও সেনসেলোর ক্রস থেকে একেবারে ফাঁকায় হেড দেওয়ার সুযোগ পেয়েও লক্ষ্যে রাখতে পারেননি জেসুস। ৬৩তম মিনিটে বড় ধাক্কা খায় সিটি। ইনজুরিতে পড়ে মাঠ ছাড়েন আলেকজান্ডার-আর্নল্ড। এরপর ম্যাচের বাকী সময় দুই দলই গোলের চেষ্টা করে। কিন্তু সে অর্থে জোরালো কোনো আক্রমণ তৈরি করতে না পারলে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে মাঠ ছাড়ে দুই দল।

Comments

The Daily Star  | English

Police see dead man running

Prisoners, migrants, even the deceased get implicated in cases

47m ago