চট্টগ্রামে ফ্ল্যাটে আগুন: নিহত ১, চিকিৎসাধীন আরও ৮
চট্টগ্রাম শহরের একটি ছয় তলা ভবনের ফ্ল্যাটে আগুন লেগে দগ্ধ নয় জনের মধ্যে একজন মারা গেছেন। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সোমবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। বাকি আট জন হাসপাতালে চিকিৎসধীন। তাদের মধ্যে বেশিরভাগের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
নিহতের নাম পেয়ারা বেগম (৬৫)। বিষয়টি দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করে চমেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের প্রধান ডা. রফিক উদ্দিন আহমেদ জানান, আগুনে নিহতের শরীরের ৬০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।
এর আগে, গতকাল রোববার রাত সাড়ে ৯টার নগরীর উত্তর কাট্টলী এলাকার ‘মমতাজ ভিলা’ নামের ভবনটির সবচেয়ে উপরের ফ্ল্যাটটিতে আগুন লাগে। এতে একই পরিবারের সাত জনসহ নয় জন দগ্ধ হন।
এই ঘটনায় দগ্ধ হওয়া নয় জন হলেন— মিজানুর রহমান (৪২), তার স্ত্রী বিবি সুলতানা (৩০), ছেলে মাহির (৭), মেয়ে মানহা (২), মা পেয়ারা বেগম (৬৫), ভাই সাইফুল ইসলাম (২০) ও বোন সুমাইয়া আক্তার (১৮) এবং রিজাউল ইসলাম (২২) ও তার স্ত্রী সালমা জাহান (২১)। তাদেরকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। যার মধ্যে মিজানুরের মা পেয়ারা বেগম আজ মারা গেলেন।
আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহির হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, মিজানুর রহমান একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন এবং একাই ফ্ল্যাটটিতে থাকতেন। আর রিজাউল ও তার স্ত্রী ওই ফ্ল্যাটটিতে সাব-লেট থাকতেন। মিজানুরের স্ত্রী ফেনীর দাগনভূঞার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা করেন। মিজানুর ছাড়া তার পরিবারের বাকি সদস্যরা মূলত ফেনীতে গ্রামের বাড়িতে থাকতেন। কয়েক সপ্তাহ আগে তারা সেখানে বেড়াতে আসেন।
ওসি বলেন, ‘আগুন লাগার কারণ এখনো জানা যায়নি। ফাফার সার্ভিস ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড এ ঘটনার তদন্ত করছে।’
আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের বিভাগীয় সদর দপ্তরের একজন ডিউটি অফিসার জানান, তাদের দল ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই আগুন নিভে যায়। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত বলে তাদের ধারণা।
চমেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের প্রধান ডা. রফিক উদ্দিন আহমেদ জানান, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাকিদের মধ্যে বেশিরভাগের অবস্থাই আশঙ্কাজনক। তাদের শরীরের পাঁচ থেকে ৪৮ শতাংশ পর্যন্ত পুড়ে গেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য মিজানুরের পরিবারের বাকি ছয় সদস্যকে ঢাকায় নেওয়া হয়েছে।
‘তাদের পরিবারের উদ্যোগেই উন্নত চিকিৎসার জন্য তারা ঢাকার পথে রওনা হয়েছেন’, বলেন ডা. রফিক উদ্দিন আহমেদ।
Comments