বাউল রণেশ ঠাকুরের পাশে লেখক ও পেশাজীবীরা

কয়েক মাস আগে দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে পুড়ে গিয়েছিল সংস্কৃতির রাজধানী সুনামগঞ্জের বাউল রণেশ ঠাকুরের গানের ঘর। শাহ আবদুল করিমের অন্যতম শিষ্য ও রুহী ঠাকুরের অনুজ বাউল রণেশ ঠাকুরের সহায়তায় এগিয়ে এসেছিলেন দেশ-বিদেশের অনেকেই। সবার সহযোগিতায় নিজের ভিটেমাটিতে আবারও ঘর নির্মাণের স্বপ্ন দেখছেন তিনি। আবারও মগ্ন হচ্ছেন সংগীত সাধনায়।
সম্প্রতি বাউল রণেশ ঠাকুরের গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার উজানধল গিয়ে তার সহায়তার জন্য সংগ্রহ করা ৫০ হাজার টাকা তার হাতে তুলে দিয়েছেন কবি ও গবেষক আলমগীর শাহরিয়ার।
এ বিষয়ে আলমগীর শাহরিয়ার জানান, ক্ষতিগ্রস্ত বাউল রণেশ ঠাকুরের পাশে দাঁড়াতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তিনি একটি পোস্ট দিয়েছিলেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আনিসুর রহমান একটি উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এতে আনিসুর রহমান ও আলমগীর শাহরিয়ারের বন্ধু, সতীর্থ পেশাজীবী, অগ্রজ, অনুজ ও দেশ-বিদেশের শুভাকাঙ্ক্ষিরা মিলে প্রায় অর্ধ লাখ টাকা উত্তোলন করেন ক্ষতিগ্রস্ত রনেশ ঠাকুরকে সহায়তার জন্য। সেই টাকা গত ৪ নভেম্বর বাউলের নিজ গ্রামে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ভিটে পরিদর্শনপূর্বক পৌঁছে দেওয়া হয়।
সে সময় বাউল রণেশ ঠাকুর তাকে সহায়তা করা এবং এই উদ্যোগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
আর্থিক এ সহযোগিতা পৌঁছে দেওয়ার সময় আরও উপস্থিত ছিলেন দৈনিক সিলেটের ডাক’র সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার সাঈদ নোমান এবং ভাটিবাংলা বাউল একাডেমি ও গবেষণা কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক দুলন চৌধুরী।
আরও পড়ুন:
Comments