দল পেলেন আশরাফুল, পেলেন না শাহরিয়ার নাফীস, রাজ্জাকরা

বিপ টেস্টের ১১ মানদণ্ড পেরিয়ে ফিটনেস পরীক্ষায় ক্যারিয়ারের পড়তিতে থাকা খেলোয়াড়রা উৎরে গিয়ে বেশ চমক দেখান। কিন্তু ড্রাফটের দিন তাদের কদর একদমই থাকল না।

সব স্থানীয় ক্রিকেটারদের নিয়া করা পাঁচ দলের বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে অভিজ্ঞ তারকাদের মধ্যে দল পেয়েছেন মোহাম্মদ আশরাফুল। ড্রাফটে থাকলেও কোন দলই আগ্রহ দেখায়নি শাহরিয়ার নাফীসের প্রতি। দল পাননি আব্দুর রাজ্জাক, এনামুল হক জুনিয়রের মতো স্পিনাররা।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটলে হয়ে যায় প্লেয়ার্স ড্রাফট। এই টুর্নামেন্টের ড্রাফটের তালিকায় নাম থাকতে হলে ফিটনেস পরীক্ষার মানদণ্ড বেধে দিয়েছিলেন নির্বাচকরা। বিপ টেস্টের ১১ মানদণ্ড পেরিয়ে ফিটনেস পরীক্ষায় ক্যারিয়ারের পড়তিতে থাকা খেলোয়াড়রা উৎরে গিয়ে বেশ চমক দেখান। কিন্তু ড্রাফটের দিন তাদের কদর একদমই থাকল না।

তাদের সবাইকেই রাখা হয়েছিল ‘ডি ক্যাটাগরিতে’। এই ক্যাটাগরির পারিশ্রমিক ধরা হয়েছিল সবচেয়ে কম ৪ লাখ টাকা। একই ক্যাটাগরিতে ছিলেন আকবর আলি, তানজিদ হাসান তামিমদের মতো উঠতি তারকারাও। দলগুলো সেই তরুণদের দিকেই ঝুঁকেছে বেশি।

এক সময় জাতীয় দলে খেলতেন, এমন অভিজ্ঞদের মধ্যে ৩৬ পেরুনো আশরাফুলকে শুরুর দিকে দলে নেয় মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী। একই দল পরে অভিজ্ঞ রকিবুল হাসানকেও নিয়েছে।

পুরনো খেলোয়াড়দের ফরহাদ রেজা ছিলেন ‘সি’ ক্যাটাগরিতে। রাজশাহী নিয়েছে ৩৪ পেরুনো এই পেস অলরাউন্ডারকে।

৩৫ পেরুনো বাঁহাতি ওপেনার শাহরিয়ার নাফীস বিপ টেস্টে ভাল করলেও দল পাননি। বাংলাদেশের প্রথম টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের চেয়ে তরুণদের দিকেই বেশি আগ্রহ দেখিয়েছেন দল মালিকরা।

বিপ টেস্টে ১২.১ স্কোর করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট জয়ের নায়ক এনামুল হক জুনিয়র। কেউ আগ্রহী না থাকায় এই বাঁহাতি স্পিনারেরও খেলা হচ্ছে না বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ। তার মতই বিপ টেস্টে স্কোর ১২ ছাড়িয়েছিলেন জুনায়েদ সিদ্দিকী। দলবিহীন তিনিও। 

সীমিত সংস্করণে বাংলাদেশের এক সময়ের কাণ্ডারি ছিলেন বাঁহাতি স্পিনার আব্দুর রাজ্জাক। ৩৮ পেরিয়ে যাওয়া রাজ্জাক বিপ টেস্টে পাশ মার্ক পেলেও পেলেন না দল।নাঈম ইসলামের প্রতিও আগ্রহ দেখায়নি কেউ।  ইনজুরিতে থাকায় অলক কাপালি অংশ নিতে পারেননি বিপ টেস্টে, সঙ্গত কারণেই ড্রাফটেও ছিলেন না তিনি। 

যারা আছেন যে দলে: 

বেক্সিমকো ঢাকা:  মুশফিকুর রহিম, রুবেল হোসেন, তানজিদ হাসান তামিম, নাসুম আহমেদ, নাঈম শেখ, নাঈম হাসান, শাহাদাত হোসেন দিপু, আকবর আলি, ইয়াসির আলি রাব্বি, সাব্বির রহমান, মেহেদী হাসান রানা, মুক্তার আলি, শফিকুল ইসলাম, আবু হায়দার রনি, পিনাক ঘোষ, রবিউল ইসলাম রবি। 

জেমকন খুলনা: সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ, ইমরুল কায়েস, হাসান মাহমুদ, আল-আমিন হোসেন সিনিয়র, এনামুল হক বিজয়, শামীম পাটোয়ারি, আরিফুল হক, শফিউল ইসলাম, শুভাগত হোম চৌধুরী, শহিদুল ইসলাম, রিশাদ হোসেন, জাকির হাসান, নাজমুল ইসলাম অপু, সালমান হোসেন, জহুরুল ইসলাম অমি। 

মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী: মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, শেখ মেহেদী, নাজমুল হোসেন শান্ত, নুরুল হাসান সোহান, ফরহাদ রেজা, মোহাম্মদ আশরাফুল, আরাফাত সানি, ইবাদত হোসেন, ফজলে মাহমুদ রাব্বি, , রনি তালুকদার, আনিসুল ইমন, রেজাউর রহমান, জাকের আলি অনিক, রকিবুল হাসান (সিনিয়র), মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ, সানজামুল ইসলাম। 

গাজি গ্রুপ চট্টগ্রাম: মোস্তাফিজুর রহমান, লিটন দাস, মোহাম্মদ মিঠুন, সৌম্য সরকার, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, শরিফুল ইসলাম, জিয়াউর রহমান, তাইজুল ইসলাম, শামসুর রহমান, নাহিদুল ইসলাম, সৈকত আলি, মুমিনুল হক, রাকিবুল হাসান, সঞ্জিত সাহা, মাহমুদুল হাসান জয়, মেহেদী হাসান (অ-১৯ পেসার)

ফরচুন বরিশাল: তামিম ইকবাল, আফিফ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, ইরফান শুক্কুর, মেহেদী হাসান মিরাজ, আবু জায়েদ চৌধুরী রাহি, তৌহিদ হৃদয়, তানবির ইসলাম, সুমন খান, সাইফ হাসান, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, পারভেজ হোসেন ইমন, কামরুল ইসলাম রাব্বি, আবু সায়েম, সোহরাওয়ার্দি শুভ।

 

Comments