জাপানে করোনার তৃতীয় ঢেউ, পরিস্থিতির অবনতি
জাপানে করোনা ভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে। শীতজনিত সর্দি, জ্বর ও ইনফ্লুয়েঞ্জার পাশাপাশি করোনার তৃতীয় ঢেউ পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়াবহ হয়ে উঠছে।
এই ঢেউ প্রথমবারের চয়ে তিনগুণ বেশি তীব্র হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ ও সতর্ক করে দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
হাসপাতালগুলো ইতোমধ্যে রোগীদের চিকিৎসা দিতে হিমসিম খাচ্ছে।
গত ৯ নভেম্বর সোমবার হোক্কাইদোতে প্রথমবারের মতো শনাক্ত দুইশ জন। এই সংখ্যা উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এপ্রিল-মে মাসে প্রথম এবং আগস্ট মাসে দ্বিতীয় ঢেউ-এ এতো বিপুল সংখ্যক করোনা আক্রান্ত রোগী সনাক্ত হয়নি।
আজ ১৩ নভেম্বর কেবল হোক্কাইদোতে ২৩৫ জন নতুন শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত শুধু হোক্কাইদোতে মোট ৪ হাজার ৮২০ জন শনাক্ত হলো।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, তাপমাত্রা হ্রাস পাওয়ায় মানুষ দরজা–জানালা খুলে দিয়ে নিয়মিত বায়ু চলাচলের সুযোগ দেন না। তাই শীতকালে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বেড়েই চলেছে এবং আরও বাড়বে। তারা ঘরের ভেতর পর্যাপ্ত বাতাস চলাচলের পরামর্শ দিয়েছেন।
রাজধানী টোকিওতে ১৩ নভেম্বর শুক্রবার নতুন করে আরও ৩৭৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এ পর্যন্ত টোকিওতে মোট ৩৩ হাজার ৭৭০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। যা দেশটিতে সর্বোচ্চ স্থানে অবস্থান করছে। এরপরের স্থানেই আছে বাণিজ্যিক রাজধানী খ্যাত ওসাকা। সেখানে এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত হয়েছে ১৪ হাজার ৬৭২ জন। ৯ হাজার ৭৫১ জন শনাক্ত হয়ে তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছে কানাগাওয়া প্রিফেকচার। আর সবচেয়ে কম শনাক্ত হয়েছে ইওয়াতে এবং তোততরি প্রিফেকচারে দুটি। প্রিফেকচারে মোট শনাক্তের সংখ্যা ৫১ জন করে।
সব মিলিয়ে জাপানে এ পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১,১৫,৬০৮ জন (প্রমোদ তরী প্রিন্সেস ডায়মন্ড এর যাত্রীসহ)। মারা গেছেন ১ হাজার ৯৭৩ জন এবং সম্পূর্ণ সুস্থ হয়েছেন মোট ১,০০,৬৬৪ জন। (সূত্র: স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, জাপান)
Comments