পরের ম্যাচেও গ্যালারির এমন উন্মাদনা চান বাংলাদেশ কোচ
করোনাভাইরাস মহামারির উপর যা ছিল একদম অচেনা দৃশ্য। ক্রিকেট হোক বা ফুটবল- দর্শকবিহীন গ্যালারিই যেন ছিল চলমান বাস্তবতার ছবি। বাংলাদেশ-নেপাল ফুটবল ম্যাচে মিলল ভিন্ন দৃশ্য। সুযোগ পেয়ে দর্শকরা এলেন মাঠে। উঠল ‘বাংলাদেশ’, ‘বাংলাদেশ’ আওয়াজ। এমন পরিবেশে দারুণ জয় পাওয়ার পর বাংলাদেশ কোচ জেমি ডে বললেন, দর্শকরা যেন মাতিয়ে রাখেন পরের খেলাও।
শুক্রবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ভরপুর গ্যালারিতে নেপালকে ২-০ গোলে হারায় জামাল ভূঁইয়ার দল। ফিফা প্রীতি ম্যাচে মাঠে প্রবেশের জন্য ছাড়া হয়েছিল ৮ হাজার টিকেট। তবে গ্যালারিতে মানুষের উপস্থিতি এরচেয়ে বেশি ছিল।
পাশাপাশি আসনে বসে খেলা দেখায় সামাজিক দূরত্বের বালাই খুব একটা ছিল না। সেদিকে ইঙ্গিত করেও জেমি বললেন, দর্শকরাই তাতিতে দিয়েছেন ফুটবলারদের। মঙ্গলবার দ্বিতীয় ম্যাচেও এমন পরিবেশ প্রত্যাশা তার, ‘হ্যাঁ (দর্শক উপস্থিতিতে খুশি কিনা), সেইসঙ্গে গ্যালারিতে সামাজিক দূরত্ব থাকাও উচিত ছিল (হাসি)। যাইহোক, আসলেই দারুণ পরিবেশ ছিল। দর্শকদের উন্মাদনা খেলোয়াড়দের অনুপ্রাণিত করেছে। খুব ভালো যে, ফুটবলাররাও এর প্রতিদান দিয়ে দারুণ ফুটবল উপহার দিয়েছে। আমি আশা করব পরের ম্যাচেও এরকম দর্শক থাকবে। কারণ সমর্থনটা খুবই জরুরী।’
করোনাবিরতির পর এই ম্যাচ দিয়েই আন্তর্জাতিক ফুটবলে ফিরে বাংলাদেশ। ফিরে জয়েও। গত জানুয়ারিতে ঘরের মাঠেই বুরন্ডির কাছে হারতে হয়েছিল লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের। করোনা স্থবিরতার পরই খেলতে নেমে জয় তাই কোচের কাছে আলাদা গুরুত্বের, ‘দলে কোন চোট ছিল না। সবাইকে ফিট অবস্থায় পাওয়াটা ছিল আনন্দের। তবে আমরা চেয়েছি ব্যাকআপ খেলোয়াড়দের বাজিয়ে দেখতে। দীর্ঘ ৮ মাস পর খেলতে নেমেছি। জড়তা পাশ কাটিয়ে এটা দারুণ জয়।’
‘তাদের তিনজন প্রথম সারির খেলোয়াড় ছিল না। তবু তারা যথেষ্ট ভালো দল। আমরাও সেরা একাদশ খেলাইনি। শুরু থেকে আমরা নিয়ন্ত্রণ নিয়েছি। দ্বিতীয়ার্ধে তারা চাপ বাড়িয়ে খেলায় ফেরার চেষ্টা করেছিল। আমরা ভালোভাবেই তা আটকে দিয়ে ম্যাচে থেকেছি। এটা কঠিন ম্যাচ ছিল।’
Comments