প্রবাস

করোনার তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সর্বোচ্চ সতর্কতায় টোকিও

জাপানে করোনার তৃতীয় ঢেউ চলছে। শুরুতেই বিশেষজ্ঞরা এই ঢেউ প্রথম ঢেউয়ের চেয়ে তিন গুণ বেশি আঘাত হানবে বলে সতর্ক করে দিয়েছিলেন। বিশেষজ্ঞদের সেই আশঙ্কাই বাস্তব হতে চলেছে। টোকিওতে করোনায় সর্বোচ্চ সতর্কতার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
করোনার তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলায় মাস্ক পরে টোকিওর রাস্তায় চলাফেরা করছেন স্থানীয়রা। ১৮ নভেম্বর ২০২০। ছবি: এপি

জাপানে করোনার তৃতীয় ঢেউ চলছে। শুরুতেই বিশেষজ্ঞরা এই ঢেউ প্রথম ঢেউয়ের চেয়ে তিন গুণ বেশি আঘাত হানবে বলে সতর্ক করে দিয়েছিলেন। বিশেষজ্ঞদের সেই আশঙ্কাই বাস্তব হতে চলেছে। টোকিওতে করোনায় সর্বোচ্চ সতর্কতার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

জাপানে করোনার এ যাবৎ কালের সব রেকর্ড ভঙ হয়েছে গতকাল বুধবার। একইসঙ্গে টোকিওতেও সর্বোচ্চ সংখ্যক আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। এদিন জাপানে শনাক্তের সংখ্যা দুই হাজার অতিক্রম করে। সংখ্যার দিক থেকে দুই হাজার ১৯৫ জন। আর টোকিওতে এ সংখ্যা ৪৯৩। অথচ একদিন আগেও টোকিওতে শনাক্তের সংখ্যা ছিল ২৯৮ জন। একদিনের ব্যবধানে প্রায় দুই শ রোগী শনাক্ত হয়, যা রীতিমতো চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

গতকাল দিনশেষে টোকিও মেট্রোপলিটান গভর্নর কোইকে ইয়ুরিকো করোনায় ঘোষিত বর্তমান সতর্কতা ‘লেবেল তিন’ অর্থাৎ ‘সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া শুরু করেছে’ থেকে একধাপ বাড়িয়ে ‘লেবেল চার’ এ অর্থাৎ ‘সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে’ উন্নীত করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আভাস দেন। আজ করোনায় করণীয় বিষয়ক বিশেষজ্ঞ প্যানেলের সভা শেষে এ ঘোষণা আসবে বলে স্থানীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে।

হোক্কাইদোতে এই সতর্কতা পূর্বেই ঘোষণা করা হয়েছে। ওসাকা, কানাগাওয়া, আইচি, সাইতামা ও হিয়োগোর মতো প্রদেশগুলোতে পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হচ্ছে। গতকাল ওসাকাতে ২৭৩ জন, কানাগাওয়াতে ২২৬ জন, আইচিতে ১৪১ জন, সাইতামাতে ১২৬ জন ও হিয়োগোতে ১০৩ জন করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে।

তবে, আপাতত সেখানে লকডাউনের কোনো পরিকল্পনা নেই বলে স্থানীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে।

গভর্নর কোইকে সর্বোচ্চ সতর্কতাকে ‘সফট লকডাউন’ হিসেবে দেখছেন। তিনি জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে বেশি রাত পর্যন্ত খোলা না রাখার অনুরোধ জানান। বিশেষ করে পানশালাগুলো।

উল্লেখ্য, জাপানে করোনায় প্রথম এবং দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময়ও কোনো এলাকা লকডাউন করা হয়নি। সতর্কতা আরোপ করে ‘জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা করা হয়েছিল। সরকারের পক্ষ থেকে জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে অপ্রয়োজনে বের না হওয়া, লোকসমাগম বেশি হয় এমন আয়োজন করা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানানো হয়।

[email protected]

আরও পড়ুন:

জাপানে করোনার তৃতীয় ঢেউ, পরিস্থিতির অবনতি

Comments

The Daily Star  | English

Fashion brands face criticism for failure to protect labour rights in Bangladesh

Fashion brands, including H&M and Zara, are facing criticism over their lack of action to protect workers' basic rights in Bangladesh, according to Clean Clothes Campaign (CCC)..One year after a violent crackdown by state actors and employers against Bangladeshi garment workers protesting

6m ago