শীতের আগেই নাব্যতা সংকটে পটুয়াখালী-ঢাকা নৌপথ

শীত আসার আগেই পটুয়াখালী-ঢাকা নৌপথে নাব্যতা সংকট দেখা দিয়েছে। প্রায়ই ডুবোচরে আটকে যাচ্ছে এ রুটে চলাচলকারী যাত্রীবাহী লঞ্চগুলো। এতে গন্তব্যে পৌঁছাতে তিন থেকে চার ঘণ্টা বেশি সময় লেগে যাচ্ছে।
পটুয়াখালী লঞ্চ টার্মিনালের কাছে লোহালিয়া নদীতে চলছে ড্রেজিং। ছবি: সোহরাব হোসেন

শীত আসার আগেই পটুয়াখালী-ঢাকা নৌপথে নাব্যতা সংকট দেখা দিয়েছে। প্রায়ই ডুবোচরে আটকে যাচ্ছে এ রুটে চলাচলকারী যাত্রীবাহী লঞ্চগুলো। এতে গন্তব্যে পৌঁছাতে তিন থেকে চার ঘণ্টা বেশি সময় লেগে যাচ্ছে।

বর্ষা মৌসুমে নির্বিঘ্নে লঞ্চ চললেও শীতকালে নাব্যতা সংকট দেখা দেয়। প্রতি বছরই ডিসেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ডুবোচরে বড় দোতলা লঞ্চগুলো আটকে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। তবে এবার শীত শুরুর আগেই নাব্যতা সংকট দেখা দিয়েছে। জোয়ারের সময় কোনরকমে চলাচল করতে পারলেও ভাটার সময় বেশ কয়েকটি জায়গায় লঞ্চ আটকে যাচ্ছে। জোয়ার এলেই কেবল সেখান থেকে আবার রওনা দেওয়া যায়।

পটুয়াখালী নদী বন্দর কর্মকর্তা প্রায় দুমাস আগে এই রুটে নাব্যতা সংকট কাটাতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে কমপক্ষে নয়টি স্পটে জরুরি ভিত্তিতে ড্রেজিংয়ের অনুরোধ জানিয়েছিলেন।

এই রুটে প্রতিদিন চার থেকে পাঁচটি দোতলা যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল করে। ১৪ নভেম্বর পটুয়াখালী থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া এ রুটের পাঁচটি দোতালা লঞ্চ এমভি সাত্তার খান-১, আওলাদ-৭, জামাল- ৫, রয়েল ক্রুজ-১ এবং সুন্দরবন-১৪ কারখানা নদীতে রাত ৮টার দিকে আটকা পড়ে। ৩ ঘণ্টা পর জোয়ার এলে লঞ্চগুলো আবার ছেড়ে যায়। এতে নির্ধারিত সময়ে প্রায় দুই ঘণ্টা পর লঞ্চগুলো গন্তব্যে পৌঁছায়।

সুন্দরবন-১৪ লঞ্চের যাত্রী এনামুল রহমান বলেন, সন্ধ্যা সোয়া ৬ টার দিকে পটুয়াখালী টার্মিনাল থেকে যাত্রী নিয়ে লঞ্চটি ঢাকার উদ্দেশে পটুয়াখালী ত্যাগ করে। পানি কম থাকায় লঞ্চটি কারখানা নদীর ডুবোচরে আটকা পড়ে।

এ আর খান-১ লঞ্চের চালক বলেন, পটুয়াখালী-ঢাকা নৌপথে লোহালিয়া নদীর মোহনা, কারখানা, কবাই, সোনাকান্দাসহ কয়েকটি জায়গায় ডুবোচর আছে। ভাটার সময় এসব জায়গায় লঞ্চগুলো আটকা পড়ে। বিষয়টি আমরা বিআইডব্লিউটিএ কে জানিয়েছি।

পটুয়াখালী নদী বন্দর কর্মকর্তা খাজা সাদিকুর রহমান জানান, এ রুটের নয়টি স্পটে নাব্যতা সংকট কাটাতে চলাচলকারী লঞ্চগুলোর মাস্টারদের লিখিত আবেদনের ভিত্তিতে ড্রেজিং বিভাগের প্রধান প্রকৌশলীর কাছে ২ অক্টোবর চিঠি দেওয়া হয়েছে। ড্রেজিং বিভাগ তিনটি স্পটে এরই মধ্যে খনন শুরু করেছে। আশাকরি দ্রুতই এ সংকট কেটে যাবে।

Comments

The Daily Star  | English

Fashion brands face criticism for failure to protect labour rights in Bangladesh

Fashion brands, including H&M and Zara, are facing criticism over their lack of action to protect workers' basic rights in Bangladesh, according to Clean Clothes Campaign (CCC)..One year after a violent crackdown by state actors and employers against Bangladeshi garment workers protesting

6m ago