গোল্ডেন মনিরের উত্থানে জড়িতদের শনাক্তে কাজ চলছে: র‌্যাব

গোল্ডেন মনির ছিলেন একজন সুবিধাবাদী রাজনীতিবিদ। নব্বইয়ের দশকে সেলসম্যান থেকে লাগেজ ব্যবসা এবং স্বর্ণ চোরাচালানি ও ভূমি দখলে তিনি রাজনৈতিক নেতা ও সরকারি বিভিন্ন কর্মকর্তার কাছ থেকে সুবিধা ভোগ করেছেন। নিজের নামে-বেনামে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় এক হাজার ৫০ কোটি টাকার সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন। অবৈধভাবে মনির হোসেন থেকে গোল্ডেন মনির হওয়ায় পেছনে কারা কারা জড়িত তাদের শনাক্তে কাজ করছে র‌্যাব।
গোল্ডেন মনির | ছবি: সংগৃহীত

গোল্ডেন মনির ছিলেন একজন সুবিধাবাদী রাজনীতিবিদ। নব্বইয়ের দশকে সেলসম্যান থেকে লাগেজ ব্যবসা এবং স্বর্ণ চোরাচালানি ও ভূমি দখলে তিনি রাজনৈতিক নেতা ও সরকারি বিভিন্ন কর্মকর্তার কাছ থেকে সুবিধা ভোগ করেছেন। নিজের নামে-বেনামে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় এক হাজার ৫০ কোটি টাকার সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন। অবৈধভাবে মনির হোসেন থেকে গোল্ডেন মনির হওয়ায় পেছনে কারা কারা জড়িত তাদের শনাক্তে কাজ করছে র‌্যাব।

আজ রোববার দুপুরে র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, নব্বইয়ের দশকে একজন সেলসম্যান থেকে তিনি কুকারিজ ব্যবসা শুরু করেন। এরপর লাগেজ পার্টির সঙ্গে যুক্ত হন। সেখানে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে কসমেটিকস পণ্য আমদানি করতেন। তারপর মনির স্বর্ণ চোরাচালানে যুক্ত হন।

তিনি বলেন, মনির রাজউকের বিভিন্ন কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলেন। জাল স্ট্যাম্প, জাল সিল তৈরি করে ভুয়া দলিল বানিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে প্লট ও জমি দখল করেছেন। এ ছাড়া, তার বাসা থেকে দুটি এবং অটো কার সিলেকশন থেকে তিনটি অনুমোদনহীন বিলাসবহুল গাড়ি জব্দ করা হয়। এসব বিষয়ে আমরা সরকারের চারটি সংস্থাকে তথ্য সংগ্রহের জন্য অনুরোধ জানাবো।

মনির দেশের বাইরে কী পরিমাণ অর্থ পাচার করেছে বা কী পরিমাণ সম্পদ তার আছে সে বিষয়ে তদন্তের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) অনুরোধ করবো। শুল্ক ফাঁকির বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এবং অনুমোদনহীন বিলাসবহুল গাড়ি (প্রতিটি তিন কোটি টাকা মূল্যের) আমদানির বিষয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষকে (বিআরটিএ) অনুসন্ধানের জন্য আমরা বলবো। এ ছাড়া, জালিয়াতির মাধ্যমে ভূমি দখলের বিষয়ে রাজউককে অনুসন্ধানের জন্য আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে জানাবো। র‌্যাবের কার্যক্রমের আওতাভুক্ত না হওয়ায় আমরা চার সংস্থাকে তদন্ত করতে অনুরোধ জানাচ্ছি— বলেন আশিক বিল্লাহ।

তিনি আরও বলেন, আজ তার বিরুদ্ধে বাড্ডা থানায় র‌্যাব বাদী হয়ে তিনটি মামলা দায়ের করেছে। তার বাসায় বিদেশি পিস্তল উদ্ধারের বিষয়ে অস্ত্র আইনে একটি, বিদেশি মদ উদ্ধারের ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি এবং ছয় শ ভরি স্বর্ণ, ডলার ও টাকা উদ্ধারের ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে দুদক ও রাজউক আগেই দুটি মামলা করেছিল। মনিরের বাসায় অভিযানে গিয়ে আমরা জানতে পেরেছি রাজউকের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় তিনি ঢাকা ও এর আশেপাশের এলাকায় দুই শতাধিক প্লট ও জমি দখল করেছেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ৩০টি প্লট দখলে থাকার কথা স্বীকার করেছেন।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

6h ago