বিনোদনের জন্য আর বিদেশ যেতে হবে না: তাজুল ইসলাম
ঢাকা নগরীকে আধুনিক ও বাসযোগ্য নগরীতে রূপান্তরিত করতে একটি বিশেষ পরিকল্পনা ও ন্যাশনাল ডাটা ব্যাংক তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী এবং ড্যাপের আহ্বায়ক মো. তাজুল ইসলাম।
তিনি আজ রোববার মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ডিটেইল্ড এরিয়া প্ল্যান-ড্যাপ নিয়ে আলোচনা সভায় এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, ‘নগর স্থপতি এবং নগর পরিকল্পনাবিদের মতামত নিয়ে সমন্বিত উদ্যোগে গৃহীত এই বিশেষ পরিকল্পনা ও ন্যাশনাল ডাটা ব্যাংক ড্যাপের গাইডলাইন হিসেবে কাজ করবে। খণ্ড খণ্ড ভাবে আলোচনা করে “ইমপ্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট” করেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ‘রাজধানীতে যেসব ভবন আছে এবং পরবর্তীতে যে ভবন নির্মাণ করা হবে, সেগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রাস্তা রাখতে হবে। সুউচ্চ ভবন নির্মাণ করে হাজার হাজার মানুষের আবাসনের ব্যবস্থা করলে অবশ্যই রাস্তাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।’
মন্ত্রী জানান, ঢাকা শহরে যেসব খাল রয়েছে, সেগুলোকে পরিকল্পিতভাবে হাতিরঝিলের সঙ্গে সংযোগ তৈরি করে যদি ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট এবং দুই পাশে ওয়াকওয়ে চালু করা যায়, তাহলে এই নগরী অপরূপ দৃশ্য ধারণ করবে। বিনোদনের জন্য আর বিদেশ যেতে হবে না।
এ লক্ষ্যে দুটি প্রকল্পের কাজ শেষ পর্যায়ে আছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘আজ বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনায় বসেছি। এরপর নগর পরিকল্পনাবিদদের সঙ্গেও আলোচনা করা হবে। ড্যাপ বাস্তবায়ন করতে হলে অবশ্যই জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা, নগর স্থপতি ও পরিকল্পনাবিদসহ সংশ্লিষ্টদের মতামত প্রয়োজন। সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া এটি সম্পন্ন করা অনেক কঠিন। তাই সবাইকে নিয়েই আমরা ঢাকাকে স্বপ্নের নগরী হিসেবে গড়তে চাই।’
এসময় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (রাজউক) আরও শক্তিশালী করতে হবে বলেও উল্লেখ করেন ড্যাপ’র আহবায়ক মো. তাজুল ইসলাম।
সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব দীপক চক্রবর্তী, রাজউকের চেয়ারম্যান মো. সাঈদ নূর আলম, বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের সভাপতি জালাল আহমেদ, সাবেক সভাপতি ড. আবু সাঈদ, সহ-সভাপতি এহসান খান, ফেলো ইকবাল হাবিব, কাজী গোলাম নাসির, ড. ফরিদা নিলুফার, রাজউকের নগর পরিকল্পনাবিদ মো. আশরাফুল ইসলাম এবং মো. আজহারুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
Comments