দেম্বেলের জন্য ডর্টমুন্ডকে আরও ৪.৪ মিলিয়ন দিল বার্সেলোনা

উসমান দেম্বেলে ক্রমেই ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনার জন্য হতাশার বড় নাম হয়ে উঠছেন। রেকর্ড পরিমাণ অর্থ খরচ করে তাকে টেনেছিল দলটি। কিন্তু সে অর্থে তার কাছ থেকে কিছুই পায়নি ক্লাবটি। আরও একবার ইনজুরির শঙ্কায় পড়েছেন। এরমধ্যেই তার জন্য এক কিস্তি অর্থ দিতে হয়েছে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে।

২০১৭ সালে নেইমার বার্সেলোনা ছাড়ার পর তড়িঘড়ি করে ডর্টমুন্ড থেকে দেম্বেলেকে কিনে আনে তারা। ক্লাবের হয়ে সেটা ছিল তখন সর্বোচ্চ সাইনিংয়ের রেকর্ড। ৯৬.৮ মিলিয়ন পাউন্ডের সঙ্গে অতিরিক্ত খাতে ছিল আরও ৩৫ মিলিয়ন পাউন্ড। আর সেই খাত থেকে আরেক কিস্তি ৪.৪ মিলিয়ন ইউরো পরিশোধ করেছে বার্সা।

দেম্বেলেকে কেনার সময় চুক্তিতে ছিল প্রতি ২৫তম, ৫০তম, ৭৫তম ও ১০০তম ম্যাচে জন্য ডর্টমুন্ডকে ৪.৪ মিলিয়ন পাউন্ড করে দিবে বার্সেলোনা। গত মৌসুম পর্যন্ত বার্সার জার্সিতে সবমিলিয়ে ৭৪টি ম্যাচ খেলেছিলেন দেম্বেলে। চলতি মৌসুমের শুরুতেই ৭৫তম ম্যাচে কোটা পূরণ হওয়ায় তৃতীয় কিস্তির অপেক্ষায় ছিল দলটি। জার্মান গণমাধ্যমের সংবাদ অনুযায়ী এ অর্থ হাতে পেয়েছে ডর্টমুন্ড।

বার্সার কাছ থেকে খুব শিগগীরই হয়তো আরও এক কিস্তি অর্থ পেতে যাচ্ছে জার্মান ক্লাবটি। এরমধ্যেই কাতালান জার্সিতে মোট ৮৩টি ম্যাচ খেলেছেন দেম্বেলে। এরমধ্যে ৫৭টি লিগ ম্যাচ, ১৮টি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচ, ৭টি কোপা দেল রের ম্যাচ ও অপরটি খেলেছেন সুপার কোপায়। আনসু ফাতির ইনজুরিতে চলতি মৌসুমেই হয়তো বার্সায় নিজের শততম ম্যাচটি খেলতে পারেন এ তরুণ।

মজার ব্যাপার এর মধ্যে মাত্র ৯টি ম্যাচ পুরো ৯০ মিনিট খেলতে পেরেছেন দেম্বেলে।

বার্সার সঙ্গে আরও দেড় বহরের চুক্তি রয়েছে দেম্বেলের। যদিও চলতি মৌসুমে তাকে পেতে চেয়েছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, আর্সেনালের মতো ক্লাব। তবে ন্যু ক্যাম্প ছাড়তে রাজী নন এ তরুণ। ২০২২ সাল পর্যন্ত এ ক্লাবে থেকে ফ্রি এজেন্ট হয়ে দল ছাড়ার ইচ্ছা তার।

বার্সায় যোগ দেওয়া পর থেকে একের পর এক ইনজুরিতে পড়েই গেছেন দেম্বেলে। মোট ৯ বার। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমগুলোর খবর অনুযায়ী, অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদের মাঠে ১-০ গোলে হারের ম্যাচে চোট পেয়েছেন দেম্বেলে। প্রথমার্ধে পড়ে গিয়ে কাঁধে আঘাত পান তিনি। যে কারণে পরের ম্যাচে তাকে পাও পেতে পারে দলটি।

Comments

The Daily Star  | English

Multiple blasts heard in Tehran, black smoke visible in east: AFP

Israel army says struck Iran centrifuge production, weapons manufacturing sites

20h ago