২১ বছর পার হলেও নিজস্ব ভবন নেই নগরকান্দা পৌরসভার
ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা পৌরসভা প্রতিষ্ঠার পর পেরিয়ে গেছে ২১টি বছর। কিন্তু এত দিনেও এ পৌরসভার নিজস্ব কোন ভবন নেই। পৌরসভা কার্যক্রম চলছে জেলা পরিষদের একটি ভাড়া করা ডাক বাংলোতে।
পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৯ সালে ৭ দশমিক ৫৮ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ে নগরকান্দা উপজেলার নগরকান্দা ইউনিয়ন ও লস্করদিয়া ইউনিয়নের অনেকাংশ ভেঙে নগরকান্দা পৌরসভা গঠন করা হয়। তৎকালীন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী জিল্লুর রহমান সে বছর ১৯ ফেব্রুয়ারি এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এরপর ২১ বছর পেরিয়ে গেলেও কোন নিজস্ব ভবন হয়নি এ পৌরসভার।
নগরকান্দা উপজেলা সদরে ২২ শতাংশ জায়গায় জেলা পরিষদের একটি ডাক বাংলোর এক তলার জরাজীর্ণ পাঁচটি কক্ষ নিয়ে মাসিক ৩ হাজার টাকা ভাড়ায় চলছে পৌরসভার কার্যক্রম। পৌরসভার কার্যক্রম শুরুর পর তিন বছর জেলা পরিষদকে নিয়মিত ভাড়া পরিশোধ করা হলেও গত ১৮ বছরে কোনো টাকা পরিশোধ করা হয়নি। বকেয়া পড়েছে আট লাখ টাকার বেশি।
নগরকান্দা পৌরসভায় ৭২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী থাকার কথা। কিন্তু সেখানে বর্তমানে স্থায়ী ৬ জন ও অস্থায়ী ১০ জন কর্মরত আছেন।
পৌরসভা কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, জরাজীর্ণ ভবনে ঝুঁকি নিয়ে অফিস করছেন পৌর মেয়রসহ চার কর্মচারী। ভবনের সামনের অংশে রড বের হয়ে গেছে। পিলারে ফাটল ধরেছে, কিছু জায়গায় ভেঙেও গেছে। সিলিং এর পলেস্তারা খসে পড়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এই ভবনেই চলছে পৌরসভার কাজ।
পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র নিমাই সরকার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, পৌরসভার নতুন ভবনের জন্য ৫২ শতাংশ জমি ইতোমধ্যে কেনা হয়েছে। ভবনের জন্য টেন্ডার করে ওয়ার্ক অর্ডার দিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগামী দুই বছরের মধ্যে নতুন ভবন নির্মাণ করা সম্ভব হবে।
বকেয়া ভাড়া নিয়ে তিনি জানান, ফান্ডের অভাবে ভাড়া পরিশোধ করা যায়নি।
পৌর এলাকায় নাগরিক সেবা কম, জলাবদ্ধতা নিয়ে বাসিন্দাদের অভিযোগ নিয়ে মেয়র বলেন, ‘আমরা নাগরিক সেবা যতটুকু দিতে চাই ততটুকু দিয়ে উঠতে পারছি না, লোকবলের অভাবে। সাত নম্বর ওয়ার্ডের জলাবদ্ধতা নিরসনে ড্রেনেজ প্রকল্পের কাজ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে ডিসেম্বরেই শুরু হবে বলেও জানান তিনি।
Comments