সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ফ্লিনকে ক্ষমা করলেন ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিনকে ক্ষমা করার ঘোষণা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল বুধবার এক টুইটে আনুষ্ঠানিকভাবে ফ্লিনকে ক্ষমা করে দেওয়ার কথা জানান ট্রাম্প।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানায়, ২০১৬ সালের মার্কিন নির্বাচন নিয়ে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়ে এফবিআইকে মিথ্যা বলেছিলেন ফ্লিন। পরের বছর নিজের অপরাধ স্বীকার করে নেন ট্রাম্পের সাবেক এই ঘনিষ্ঠ সহযোগী।
ফ্লিন দাবি করেন, আইনজীবীরা তার অধিকার ক্ষুণ্ন করেছিলেন, তাকে ধোঁকা দিয়েছিলেন।
টুইটে ট্রাম্প বলেন, ‘জেনারেল মাইকেল টি ফ্লিনকে পুরোপুরি ক্ষমা করে দেওয়া হয়েছে। এটি ঘোষণা করা আমার জন্য একটি বড় ধরনের সম্মানের বিষয়। জেনারেল ফ্লিন ও তার চমৎকার পরিবারকে অভিনন্দন। আমি জানি, আপনি এখন সত্যিই দুর্দান্ত থ্যাংকসগিভিং কাটাতে পারবেন!’
বুধবার হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে ফ্লিনকে একজন ‘নিরপরাধ ভুক্তভোগী’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
ফ্লিনের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্পর্ক ছিল নাটকীয়। ডেমোক্রেটপন্থী হয়েও ২০১৬ সালের মার্কিন নির্বাচনের সময় প্রকাশ্যে ট্রাম্পকে সমর্থন জানিয়েছিলেন ফ্লিন। ট্রাম্পের প্রথম জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাও ছিলেন তিনি। ২০১৭ সালের শুরুর দিকে ট্রাম্প তাকে বরখাস্ত করেন। দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর ফ্লিনের সাজা ঘোষণা কয়েকবার পেছানো হয়েছিল।
সাংবিধানিকভাবেই মার্কিন প্রেসিডেন্টদের ক্ষমা করার অধিকার আছে। বারাক ওবামা আট বছরে ২১২ জনকে ক্ষমা করেছিলেন। চার বছরে ট্রাম্প ক্ষমা করেছেন ২৮ জনকে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে সবচেয়ে কম ক্ষমা করেছেন ট্রাম্প।
সিএনএন জানায়, ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর এ পর্যন্ত যাদের ক্ষমা করেছেন, তাদের মধ্যে সর্বোচ্চ পদাধিকারী ব্যক্তি ফ্লিন।
Comments