তুরস্কে সেনা অভ্যুত্থানের চেষ্টা: ৩৩৭ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

Turkis_Court_27Nov20.jpg
ছবি: সংগৃহীত

তুরস্কে সাবেক সেনা কর্মকর্তা ও সাধারণ নাগরিকসহ ৩৩৭ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত। ২০১৬ সালের জুলাই মাসে তারা অভ্যুত্থানের চেষ্টায় জড়িত ছিলেন বলে প্রমাণিত হয়েছে।

আলজাজিরা জানায়, প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানকে ক্ষমতাচ্যুত করতে সেনা অভ্যুত্থানের চেষ্টা হয় বলে বিমান বাহিনীর পাইলট, সেনা কমান্ডারসহ প্রায় পাঁচ শ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছিল। আঙ্কারার কাছে আকিঞ্চি বিমান ঘাঁটি থেকে তারা অভ্যুত্থান পরিচালনা করেছিলেন। এতে প্রচেষ্টায় ২৫০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারায় এবং দুই হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়।

আঙ্কারার দাবি, এর মূল হোতা ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসিত মুসলিম ধর্মীয় নেতা ফেতুল্লাহ গুলেন। তবে, গুলেন তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

আলজাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, মামলায় মোট আসামি ছিলেন ৪৭৫ জন। যাদের মধ্যে ৩৬৫ জন পুলিশ হেফাজতে ছিলেন। ১০ জন বেসামরিক নাগরিককেও আসামি করা হয়েছিল।

তুরস্কের আঙ্কারাভিত্তিক বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি (এএ) জানায়, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া ৩৩৭ জনের মধ্যে জঙ্গিবিমান এফ-১৬ এর ২৫ পাইলটসহ ২৯১ জনকে প্যারোলবিহীন যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এটি তুরস্কের আদালতে সবচেয়ে কঠোর শাস্তি। এ ছাড়া, ৭০ জনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

অভ্যুত্থানে সমন্বয়কের ভূমিকা পালান করার অভিযোগে ফেতুল্লাহ গুলেন ও একজন অধ্যাপকসহ ছয় জনের অনুপস্থিতিতে তাদের বিচার করা হয়। ৭৯ বছর বয়সী ধর্মীয় নেতা ফেতুল্লাহ গুলেন এক সময় এরদোয়ানের মিত্র ছিলেন। অভ্যুত্থান ব্যর্থ হওয়ার পর থেকে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে আছেন। গুলেনের নেতৃত্বাধীন হিজমেত আন্দোলনকে এরদোয়ান ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

Comments

The Daily Star  | English

JP central office vandalised, set ablaze

A group of unidentified people set fire to the central office of Jatiyo Party in Dhaka's Kakrail area this evening

1h ago