বনানীতে শায়িত হলেন আলী যাকের
রাজধানীর বনানী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন কিংবদন্তি নাট্য ব্যক্তিত্ব আলী যাকের। আজ শুক্রবার বিকাল ৪টা ৪০ মিনিটে তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
এর আগে, সকাল ১১টার দিকে হাসপাতাল থেকে তার মরদেহ আগারগাঁওয়ের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রাঙ্গণে রাখা হয়। সেখানে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। আত্মীয়স্বজন ও বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে এসময় তাকে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
বেলা ১টার দিকে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় আলী যাকেরের কর্মস্থল বিজ্ঞাপনী সংস্থা এশিয়াটিকে। এরপর বনানী গোরস্থান মসজিদে। বাদ আসর জানাজা শেষে দাফনের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।
একুশে পদকপ্রাপ্ত অভিনেতা, নাট্য ব্যক্তিত্ব আলী যাকের। আজ ২৭ নভেম্বর ভোর ৬টা ৪৫ মিনিটে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
আলী যাকের মঞ্চে নির্দেশনা দিয়েছেন ও অভিনয় করেছেন ‘অচলায়তন’, ‘বাকী ইতিহাস’, ‘বিদগ্ধ রমণীকুল’, ‘সৎ মানুষের খোঁজে’, ‘কাঁঠালবাগান’, ‘তৈল সংকট’, ‘এই নিষিদ্ধ পল্লীতে’, ‘কোপেনিকের ক্যাপ্টেন’ এবং ‘নুরুলদীনের সারাজীবন’ নাটকে।
‘আজ রবিবার’, ‘বহুব্রীহি’, ‘তথাপি’, ‘পাথর’ ও ‘দেয়াল’সহ আরও বিভিন্ন নাটকে অভিনয় করে তিনি টেলিভিশন দর্শকদের মনে স্থায়ী আসন দখল করে নেন।
১৯৭২ সালের আরণ্যক নাট্যদলের ‘কবর’ নাটকে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে পথচলা শুরু করেন আলী যাকের। পরবর্তী সময়ে ১৯৭৩ সাল থেকে কাজ করছেন নাগরিক নাট্যসম্প্রদায়ে। মঞ্চের পাশাপাশি টিভি নাটকেও সমাদৃত হয়েছেন তিনি।
আলী যাকের ১৯৪৪ সালের ৬ নভেম্বর চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার বাবা মুহাম্মদ তাহের উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন।
শিল্পকলায় অবদানের জন্য ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান একুশে পদকে ভূষিত করে। এ ছাড়া, তিনি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি পুরস্কার, বঙ্গবন্ধু পুরস্কার, মুনীর চৌধুরী পদক, নরেন বিশ্বাস পদক এবং মেরিল-প্রথম আলো আজীবন সম্মাননা পুরস্কার লাভ করেছেন।
Comments