বন্যায় ভেসে এলো কচুরিপানা, চাষাবাদ নিয়ে সংকটে গাজনার বিলের কৃষক
পানি শুকিয়ে গেলেও পাবনার সুজানগর উপজেলার গাজনার বিলের কৃষকরা চাষাবাদ শুরু করতে পারছেন না। কয়েক দফা বন্যায় বিলজুড়ে জমেছে কচুরিপানা। সেগুলো সরিয়ে জমিকে চাষযোগ্য করে তোলাই বড় সংকট হয়ে দেখা দিয়েছে। অতিরিক্ত টাকা দিয়েও মিলছে না কৃষিশ্রমিক।
গাজনার বিলের পাশে রাইশিমুল গ্রামের কৃষক বাবু সরদার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘চলতি বছরে কয়েক দফা বন্যায় বিলের ১০ হাজার হেক্টরের বেশি জমি প্রায় ছয় মাস পানিতে নিমজ্জিত ছিল। ফলে গত দুই মৌসুম চাষ করা সম্ভব হয়নি। স্রোতের সঙ্গে ভেসে এসেছে কচুরিপানা। এখন পেঁয়াজ চাষের জন্য জমি প্রস্তুত করতে বেগ পেতে হচ্ছে। কচুরিপানা জমে থাকায় পেঁয়াজের বীজতলা করা যাচ্ছে না। শ্রমিক নিয়ে পাঁচ বিঘা জমির কচুরিপানা পরিষ্কার করতে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকার প্রয়োজন।’
একই গ্রামের আরেক কৃষক আব্দুল আজিজ বলেন, ‘বিলের জমিতে এমনিতেই বছরে দুবারের বেশি ফসল হয় না। দীর্ঘস্থায়ী বন্যার কারণে এ বছর কৃষকরা মহাসংকটে পড়েছে। বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে শ্রমিক সংকট। টাকা দিয়েও কচুরিপানা সরানোর লোক পাওয়া যাচ্ছে না। সময় মতো পেঁয়াজ ও ধান চাষ করা সম্ভব হবে কি না তা নিয়ে সংশয় আছে।’
সুজানগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ময়নুল হক সরকার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘দীর্ঘস্থায়ী বন্যা এবং বন্যা পরবর্তী জলাবদ্ধতার কারণে বিলের জমি কচুরিপানায় ভরে গেছে। মাছ ধরতে বিলের সঙ্গে সংযুক্ত খালে বাঁশের ঘের ও জাল পাতা হয়েছিল। তাই বন্যার পানি নেমে গেলেও কচুরিপানা থেকে গেছে। কচুরিপানাগুলো সরিয়ে ফেললে চাষ করা সম্ভব হবে।’
Comments