পরিচালক পদ শূন্য ১ বছর, বেনাপোল বন্দরে ব্যাহত আমদানি-রপ্তানি

benapole landport
ফাইল ফটো

বেনাপোল বন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) পদ গত এক বছর ধরে শূন্য। এতে করে ব্যাহত হচ্ছে বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম। বন্দরের যেকোনো ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে দ্বারস্থ হতে হয় ঢাকার স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে।

বন্দরের ব্যবসায়ীরা জানান, বন্দরের প্রশাসনিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে জরুরি ভিত্তিতে বেনাপোল বন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) পদে নিয়োগ দেওয়া প্রয়োজন। বন্দর ব্যবহারকারী সংগঠনগুলো গত এক বছর ধরে বন্দরে পরিচালক নিয়োগের দাবি করলেও এখনও তা বাস্তবায়ন হয়নি।

বেনাপোল স্থলবন্দরের উপপরিচালক (ট্রাফিক) মো. আব্দুল জলিল বর্তমানে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন।

উপপরিচালক আব্দুল জলিল জানান, পরিচালক নিয়োগ দিতে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি দিয়েছে। তবুও, এখনও কোনো কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়নি।

বেনাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ সর্বশেষ ২০১৯ সালের ২৭ অক্টোবর বেনাপোল স্থল বন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) পদে প্রদোষ কান্তি দাসকে নিয়োগ দেয়। কিছুদিন পর তিনি বদলি হয়ে অন্যত্র চলে যান। এরপর থেকে পরিচালক (ট্রাফিক) পদে কোনো কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি।

বেনাপোল বন্দর দেশের ব্যস্ততম গুরুত্বপূর্ণ স্থল বন্দর। সরকারের নির্দেশনায় এ বন্দর সপ্তাহে সাত দিন ২৪ ঘণ্টা চালু থাকে। এই বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে প্রতি বছর প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য করে বাংলাদেশ।

বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাড়ায় বেনাপোল বন্দরের কার্যক্রম বেড়েছে। পরিচালক (ট্রাফিক) পদটি শূন্য থাকায় বন্দরের সার্বিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে প্রতিনিয়ত।

তবে, বেনাপোল কাস্টমস হাউসে সার্বক্ষণিক একজন কমিশনার দায়িত্ব পালন করে থাকেন বলে জানান তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Power grid failure causes outage across 21 districts

According to the Power Grid Bangladesh PLC, the situation has since returned to normal

2h ago