দুঃসময়ে মিরাজের পাশে ছিলেন অধিনায়ক তামিম
আগের ম্যাচে যিনি একাই দলকে হারিয়ে খলনায়ক বনেছিলেন, সেই মেহেদী হাসান মিরাজ পরের ম্যাচে দলের জয়ে রেখেছেন বড় অবদান। এক ওভারে চার ছক্কা খেয়ে ম্যাচ হারার ক্ষত পুষিয়ে ফের ফুরফুরে হওয়ার পেছনে অধিনায়ক তামিম ইকবালকে কৃতিত্ব দিলেন তিনি।
টুর্নামেন্টের প্রথম দিনে জেমকন খুলনাকে নিশ্চিতভাবেই হারিয়ে দেওয়ার পথে ছিল ফরচুন বরিশাল। শেষ ওভারে বল পেয়ে ২২ রান ডিফেন্ড করতে পারেননি অফ স্পিনার মিরাজ। আরিফুল হকের কাছে চার ছক্কা খেয়ে সেদিন হতাশার কারণ হয়েছিলেন তিনি।
তবে বাজে দিনের পরও মিরাজকে হেয় করেননি তামিম। শনিবার মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীকে কম রানে আটকে রাখতে চার ওভারে মাত্র ১৮ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন তিনি।
দুই ম্যাচে মুদ্রার দুই পিঠ দেখার পর এই অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার জানালেন অধিনায়কের সমর্থন থাকায় ঘুরে দাঁড়ানোর সাহস পেয়েছেন তিনি, ‘একটা জিনিস দেখেন যে আমি তো সবসময় বলি তামিম ভাই আমাকে সবসময় সাপোর্ট করে গিয়েছে, জাতীয় দলেও অনেক সাপোর্ট করে সবসময়। প্রথম ম্যাচ যখন আমরা হেরে গিয়েছিলাম, আমার বোলিংটার জন্যই হয়তো এলোমেলো হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তামিম ভাই আমাকে সাহস যুগিয়েছে এবং তামিম ভাই আমাকে ভালো কয়েকটা কথা বলেছে।
‘যেটা আমার আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। আমি যে রকম প্রথম ম্যাচটা খেলার পরে যে রকম আত্মবিশ্বাস ছিল বা নিজের ভেতর একটু খারাপ লাগা ছিল হতাশা ছিল। সেটা পরে কেটে যায়।’
'উনি আমাকে একটা কথাই বলেছে আমি তোর ওপর কোনো মাইন্ড করিনি। এবং আমি তোর ওপর আপসেট না। আমি জানি তুই কী করতে পারিস। তুই প্রমাণ করে এসেছিস। '
টিম কম্বিনেশনের কারণে তামিমের সঙ্গে ইনিংস ওপেন করারও সুযোগ ঘটছে তার। তবে ব্যাটিংয়ে দুই ম্যাচেই হয়েছেন ব্যর্থ। নিজের ঘাটতি কাটিয়ে চেষ্টায় আছেন এখানেও ভাল করার, ‘ব্যাটিংয়ে আসলে ভালো করতে পারছি না কিন্তু সবসময় কথা বলছি। কোচের সঙ্গেও কথা বলছি, তামিম ভাইয়ের সঙ্গেও কথা বলছি। আমার জন্য বড় একটা সুযোগ যে তামিম ভাইয়ের সঙ্গে ওপেনিং করছি। দুই ম্যাচে হয়তো ক্লিক করতে পারিনি কিন্তু আমি চেষ্টা করছি যে নিজেকে আর একটু পরিপূর্ণভাবে খেলার জন্য।’
Comments