সুযোগ হাতছাড়ার মিছিলে চট্টগ্রামকে খেলায় রাখলেন সৈকত
উইকেট ছিল বেশ ভালো। কিন্তু অমন উইকেটের ফায়দা তুলতে পারল না গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। লিটন দাস, মোহাম্মদ মিঠুনরা বড় কিছুর আভাস দিয়ে থেমেছেন মাঝারি রানে। বাকিরা পারেননি সুযোগ কাজে লাগাতে। তবে শেষ দিকে সৈকত আলির ছোট এক ঝড়ে লড়াইয়ের পূঁজি পেয়েছে তারা।
সোমবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ৬ উইকেটে ১৫১ রান করেছে চট্টগ্রাম। লিটন দাসের ৩৫, মিঠুনের ১৭, শামসুরের ২৬, মোসাদ্দেকের ২৮ রানের পর ১১ বলে ২৭ করেন সৈকত।
টস জিতে অনুমিতভাবেই চট্টগ্রামকে ব্যাট করতে দিয়েছিলেন তামিম ইকবাল। ছন্দে থাকা চট্টগ্রামের দুই ওপেনারের কাছ থেকে প্রত্যাশা ছিল বড় রানের।
আগের দুই ম্যাচে রান পেয়েছিলেন। সৌম্য সরকারকে পাওয়া গিয়েছিল ছন্দে। এদিন বড় ইনিংস খেলার সুযোগ ছিল। অস্থির সৌম্য আবু জায়েদ রাহির বলে পুল করতে গিয়ে ব্যাটে নিতে পারেননি। মিড অনে দেন সহজ ক্যাচ।
তিনে উঠে অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন ইতিবাচক অপ্রোচ নিয়েছিলেন। তার হাত থেকে আসছিল দারুণ কিছু শট। কিন্তু দুই চার, এক ছয় মেরে আরেকটির চেষ্টায় মিড উইকেটে বাউন্ডারি লাইনে দেন ক্যাচ। কুঁড়িতেই মেরে ফেলেন দারুণ সম্ভাবনাময় এক ইনিংস।
লিটন খেলছিলেন চমৎকার। তার ট্রেড মার্ক দৃষ্টিনন্দন কাভার ড্রাইভ, পুল দেখা মিলছিল। কোন বোলারই বিপালে ফেলতে পারছিলেন না তাকে। তাড়াহুড়োও করছিলেন না। আভাস মিলছিল বড় কিছুর। মেহেদী হাসান মিরাজের অতি বাজে বলে তারচেয়েও বাজে শটে বিদায় তার।
লেগ স্টাম্প্র উপরের শর্ট বল ঘুরে ছক্কা মারতে গিয়েছিলেন। ছক্কারই বল ছিল সেটা। কিন্তু টাইমিংয়ে গড়বড় করে ক্যাচ দেন শর্ট ফাইন লেগে। ২৫ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ৩৫ করেন তিনি।
চারে নামা শামসুর রহমান শুভ থিতু হতে নিচ্ছিলেন সময়। থিতু হয়েও ডটবলগুলো পোষাতে পারেননি। কামরুল ইসলাম রাব্বির বলে উইকেটের পেছনে তার দুর্দান্ত ক্যাচ নেন ইরফান শুক্কুর। ২৮ বলে খেলে ২৬ রানে থামেন শুভ।
এরপর বাকি পথে মোসাদ্দেক হোসেন ধরে রেখেছিলেন এক প্রান্ত। ২৪ বলে ২৮ করে ১৯তম ওভারে ফেরেন তিনি। তবে শেষ দিকে মূল কাজটা করেন সৈকত আলি। মুমিনুলের চোটে সুযোগ পাওয়া এই অলরাউন্ডার ৩ ছক্কায় ১১ বলে করেন মূল্যবান ২৭ রান। যাতে দেড়শো পেরিয়ে যায় চট্টগ্রাম।
Comments