নোয়াখালীতে প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্য ও দুর্নীতির অভিযোগ

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপজেলা প্রকৌশলী রাহাত আমিন পাটোয়ারীর বিরুদ্ধে ঘুষ ও দুর্নীতিসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপজেলা প্রকৌশলী রাহাত আমিন পাটোয়ারীর বিরুদ্ধে ঘুষ ও দুর্নীতিসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয় ঠিকাদারদের অভিযোগ, রাহাত আমিন পাটোয়ারী কাজের বিলের ফাইল আটক রেখে উৎকোচ আদায়, কর্মস্থলে গড় হাজির থাকা, ব্যক্তিগত সুবিধা নিয়ে নিজে ঠিকাদার সেজে সরকারি কাজ করা, বাসা ভাড়া না দিয়ে সরকারি বাসভবনে বসবাস করছেন ইত্যাদি।

অভিযুক্ত প্রকৌশলীকে অপসারণ ও অনিয়মের তদন্তের দাবি জানিয়েছেন অভিযোগকারীরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ঠিকাদার অভিযোগ করেন, সোনাইমুড়ীতে যোগদান করেই তিনি নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েন। রাহাত আমিন রোববার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত অফিস করেন। বুধবার সকালে হাজিরা স্বাক্ষর করে কাজ পরিদর্শনের নাম করে কুমিল্লা চলে যান। এছাড়াও, ঠিকাদারদের সড়ক নির্মাণ, মেরামত, ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণ, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ ও মেরামতের কাজের বিলের ফাইল চাপা রেখে ঘুষ আদায় করেন।

তারা আরও অভিযোগ করেন, তিনি দুই ঠিকাদারের কাজের বিলের ফাইল আটকে তার সরকারি বাসভবন ও কার্যালয়ের জন্য দুটি এসি আদায় করেন। ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে উপজেলা পরিষদ ক্যাম্পাসে কর্মচারীদের বাসভবন, ডর্মেটরি, হলরুম এবং উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কার্যালয় মেরামতের জন্য বরাদ্দের ৪০ লাখ টাকা কাজ না করে ৩০ জুনের মধ্যে ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে উত্তোলন করেন। পরবর্তীতে একাধিক ঠিকাদার থেকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স নিয়ে নিজেই ঠিকাদার সেজে নামমাত্র কাজ করে টাকা হাতিয়ে নেন।

তবে, এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত রাহাত আমিন পাটোয়ারী।

তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘স্থানীয় কিছু সংবাদকর্মী ও ঠিকাদার আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। তারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ও ষড়যন্ত্র করছে।’

সরকারি বাসার ভাড়া ফাঁকি দেওয়ার বিষয়ে তিনি কিছু না বললেও নিজের টাকা দিয়ে বাসা মেরামত করেছেন বলে জানান তিনি। কোনো ঠিকাদারের কাছ থেকে তিনি এসি গ্রহণ করেননি বলেও দাবি করেন। এছাড়াও, তিনি নিয়মিত কর্মস্থলে থাকেন বলে জানান।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা টিনা পাল বলেন, ‘উপজেলা প্রকৌশলী সরকারি বাসা বরাদ্দ কমিটির সদস্য সচিব। তিনি নিজের নামে সরকারি গেজেটেড কোয়াটার নিয়েছেন। তবে, বাসা ভাড়া দিচ্ছেন কিনা তা আমার জানা নেই। বিষয়টি নিয়ে খোঁজ নেব। তার ঘুষ ও অনিয়ম নিয়ে আমার কাছে এখনো কেউ অভিযোগ করেননি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সোনাইমুড়ী কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, রাহাত আমিন পাটোয়ারী চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি উপজেলা প্রকৌশলী হিসেবে যোগদান করেন।

Comments