‘পাথর উত্তোলনে পার্বত্য এলাকায় পানির উৎস কমছে’

নির্বিচারে গাছপালা কাটা ও পাথর উত্তোলনের কারণে পার্বত্য এলাকায় পানির উৎস কমে যাচ্ছে মন্তব্য করেছেন রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা।
ছবি: সংগৃহীত

নির্বিচারে গাছপালা কাটা ও পাথর উত্তোলনের কারণে পার্বত্য এলাকায় পানির উৎস কমে যাচ্ছে মন্তব্য করেছেন রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা।

ফলে, পার্বত্য এলাকার পাহাড়ি অধিবাসীরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে জানান তিনি।

আজ সোমবার সকাল ১০ টায় রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের এনেক্স ভবনে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে ও স্থানীয় উন্নয়ন সংস্থা হিল ফ্লাওয়ারের উদ্যোগে ‘জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজনে পার্বত্য এলাকার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সার্বিক উন্নয়ন’ বিষয়ক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘সমতলের মতো এখানেও তামাক চাষ হচ্ছে, ছড়া থেকে পাথর উত্তোলন, পরিবেশবান্ধব নয় এমন গাছ লাগানো ইত্যাদি কারণে ধীরে ধীরে পাহাড়ে পানির প্রাপ্যতা কমে যাচ্ছে। পানি দূষিত হচ্ছে, ফলে পার্বত্য এলাকার অনেক অঞ্চলে পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ছে । কৃষি জমিতে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি পরিমাণ রাসায়নিক সার ব্যবহারের ফলে মাটি উর্বরতা হারাচ্ছে। এতে আবাদি জমি অনাবাদীতে পরিণত হচ্ছে। পার্বত্য দুর্গম এলাকায় পানির নাব্যতা কমে যাওয়ায় স্থানীয় জনগোষ্ঠীর খাওয়া, গোসল, কাপড় ধোয়াসহ দৈনন্দিন কর্মকাণ্ড ব্যাহত হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর কারণে প্রাকৃতিক বন যেমন উজাড় হচ্ছে, তেমনি বন্যপ্রাণীও প্রায় বিলুপ্তির পথে। তাই বন সংরক্ষণ করার জন্য এলাকাভিত্তিক সামাজিক বনায়ন করতে হবে।’

স্থানীয় উন্নয়ন সংস্থা হিল ফ্লাওয়ারের নির্বাহী পরিচালক নিলু কুমার তঞ্চঙ্গ্যার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল ইসলাম, রাঙ্গামাটি সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শহীদুজ্জামান মহসীন, রাঙ্গামাটি সদর উপজেলা পরিষদের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা তুজ জোহরা উপমা, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক পবন কুমার চাকমা, রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. নিখিল চাকমা, রাঙ্গামাটি সহকারী বন সংরক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান, হেডম্যান শান্তি বিজয় চাকমা ও প্রকল্পের বিভিন্ন গ্রাম কমিটির উপকারভোগী সদস্যরা।

Comments

The Daily Star  | English

Floods cause Tk 14,421 crore damage in eastern Bangladesh: CPD study

The study highlighted that the damage represents 1.81 percent of the national budget for fiscal year (FY) 2024-25

2h ago