বাজে ফিল্ডিংয়ের মহড়া, তবু দেড়শোর নিচে মাহমুদউল্লাহরা
শুরুতেই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ল জেমকন খুলনা। নাসুম আহমেদ, নাঈম হাসানরা স্পিনে ধরলেন চেপে, উইকেট পেলেন রুবেল হোসেনও। সেই চাপ থেকে দলকে উদ্ধারে চেষ্টা চালালেন মাহমুদউল্লাহ আর ইমরুল কায়েস। তবে খুলনা অধিনায়ককে তিনবার জীবন দিলেন বেক্সিমো ঢাকার ফিল্ডাররা, ইমরুলও বাঁচলেন নিশ্চিত রান আউট থেকে। এতকিছুর পরও অবশ্য দেড়শো পেরুতে পারেনি তাদের পূঁজি।
২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৪৬ রান করেছে জেমকন খুলনা। দলের হয়ে তিনবার জীবন পেয়ে সর্বোচ্চ ৪৫ রান করলেও মাহমুদউল্লাহ বল খেলেছেন ৪৭টি। ৩০তম বলে গিয়ে পান প্রথম বাউন্ডারির দেখা। শুরুতে দারুণ বল করা রুবেল ২৮ রানে নেন ৩ উইকেট। নাসুম তার চার ওভারে মাত্র ১০ রান দেন।
সোমবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রাতের ম্যাচে দেখে গেছে বাজে ফিল্ডিংয়ের প্রদর্শনী। চারটি ক্যাচ ফেলেছে ঢাকার ফিল্ডাররা। মিস করেছে নিশ্চিত রান আউট। গ্রাউন্ড ফিল্ডিংয়ে গড়বড় করে বেরিয়েছে অনেকগুলো রান।
টস হেরে এদিন আবারও ওপেন করতে নেমেছিলেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু ফেরাতে পারেননি ছন্দ। শুরুটা অবশ্য এনামুল হক বিজয়ের আউটের। নাসুম আহমেদের স্পিনে উইকেটে টেনে বোল্ড হন তিনি।
সাকিব দুই চার মেরেই সারেন ইনিংস। রুবেলের দারুণ এক বলে প্যাড গলিয়ে তার অফ স্টাম্প উড়ে যায়।
অভিষিক্ত পেসার শফিকুল ইসলামের সোজা বলে ব্যাট-প্যাডের বড় ফাঁক নিয়ে ড্রাইভ খেলতে গিয়ে বোল্ড হন জহুরুল ইসলাম। ৩০ রানেই তাই ৩ উইকেট হারিয়ে বসে খুলনা ।
৮ রানে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হতে পারতেন ইমরুল কায়েস। সহজ সে সুযোগ অবিশ্বাস্য ভুলে হাতছাড়া করেন রুবেল। জীবন পেয়েই টানা দুই চারে তা উদযাপন করেন ইমরুল।
ঢাকার ফিল্ডিংয়ের বেহাল দশা দেখা যায় খানিক পর। ধুঁকতে থাকা মাহমুদউল্লাহ মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়েছিলেন। তা রাখতে পারেননি নাঈম শেখ। জীবন পেয়েও ছন্দ পাচ্ছিলেন না মাহমুদউল্লাহ। ৩০তম বলে গিয়ে পান প্রথম বাউন্ডারি। ঢাকার ফিল্ডারদের হাত ফসকে বের হয় আরও রান। তবে ব্রেক থ্রো অবশ্য দিতে পারেন নাঈম হাসান এসে। ২৭ বলে ২৯ করা ইমরুলকে এলবিডব্লিও করে ফেরান তিনি।
৩০ রানে শফিকুলের বলে আবার ক্যাচ দেন মাহমুদউল্লাহ। এবার লং অনে সহজ ক্যাচ ছাড়েন আকবর আলি। ৩৭ রানে তার আরেকটি ক্যাচ ফসকায় বোলার মুক্তার আলি হাত থেকে। শেষ পর্যন্ত শেষ ওভারে গিয়ে রুবেলের বলে ইনসাইড আউটে থামেন তিনি। এর আগে আরিফুল হক, শামীম পাটোয়ারিরা ফিরে যাওয়ায় আসেনি কার্যকর শেষের ঝড়। তবে শুভাগত হোম নেমে ৫ বলে ১৫ করায় দেড়শোর কিনারে যেতে পেরেছে তারা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
জেমকন খুলনা: ২০ ওভারে ১৪৬/৮ (এনামুল ৫, সাকিব ১১, জহুরুল ৪, ইমরুল ২৭ , মাহমুদউল্লাহ ৪৫ , আরিফুল ১৯, শামীম ১, শুভাগত ১৫*, শহিদুল ১ ; রুবেল ৩/২৮, শফিকুল ২/৩৪, নাসুম ০/১০, নাঈম ১/১৬, মুক্তার ০/৩৯, রবিউল ০/৭)
Comments