করোনায় ঢাবির দর্শন বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. হাসনা বেগমের মৃত্যু
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) দর্শন বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. হাসনা বেগম মারা গেছেন।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
অধ্যাপক ড. হাসনা বেগমের মেয়ে ঢাবির চারুকলা অনুষদের ভাস্কর্য বিভাগের অধ্যাপক লালা রুখ সেলিম দ্য ডেইলি স্টারকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত শুক্রবার করোনার উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন অধ্যাপক হাসনা বেগম। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। তিনি চার মেয়ে ও এক ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
অধ্যাপক লালা রুখ সেলিম বলেন, ‘আমার মা আজ সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে মারা গেছেন। তাকে আজ বিকালে মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।’
দার্শনিক ও নারীবাদী লেখক অধ্যাপক ড. হাসনা বেগম ১৯৩৫ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। ২০০০ সালের ডিসেম্বর তিনি ঢাবির দর্শন বিভাগের অধ্যাপনা থেকে অবসর নেন।
তিনি ঢাবি থেকে স্নাতক (১৯৬৮) ও স্নাতকোত্তর (১৯৬৯) ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি অস্ট্রেলীয় দার্শনিক পিটার সিঙ্গারের তত্ত্বাবধানে নীতিদর্শনে পিএইচডি ডিগ্রি (১৯৭৮) লাভ করেন। তিনি বহুপ্রজ লেখক এবং দর্শনের কিছু চিরায়ত গ্রন্থের বাংলা অনুবাদও সম্পন্ন করেছেন।
ড. হাসনা বেগম ১৯৯১ থেকে ১৯৯৪ পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন এবং ২০১০ সালে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের রোকেয়া চেয়ার পদে নিয়োগ পান।
তিনি বায়োএথিকস জার্নালের সম্পাদনা পরিষদের সদস্য ছিলেন এবং ১৯৯৭ থেকে ২০০৫ পর্যন্ত ইন্টারন্যাশনাল এসোসিয়েশন অব বায়োএথিকস’র বোর্ড সদস্য ছিলেন। তিনি ইউবায়োস জার্নাল অব এশিয়ান অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল বায়োএথিকস’র সম্পাদনা পরিষদেরও সদস্য ছিলেন।
Comments