ভাসানচরে নেওয়া হচ্ছে রোহিঙ্গাদের

কক্সবাজারের উখিয়া থেকে রোহিঙ্গাদের নোয়াখালীর ভাসানচরে নেওয়া হচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠে তাদের জড়ো করা হয়। এরপর তাদের বাসে চট্টগ্রামের বোট ক্লাবে নেওয়া হয়। সেখান থেকে জাহাজে তাদের ভাসানচরে নেওয়া হবে।
RAB_Rohingya_3Dec20.jpg
কক্সবাজারের উখিয়া থেকে রোহিঙ্গাদের নোয়াখালীর ভাসানচরে নেওয়া হচ্ছে। ছবি: স্টার

কক্সবাজারের উখিয়া থেকে রোহিঙ্গাদের নোয়াখালীর ভাসানচরে নেওয়া হচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠে তাদের জড়ো করা হয়। এরপর তাদের বাসে চট্টগ্রামের বোট ক্লাবে নেওয়া হয়। সেখান থেকে জাহাজে তাদের ভাসানচরে নেওয়া হবে।

র‍্যাব সদর দপ্তরের আইন ও গণমাধ্যম শাখার প্রধান লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘র‌্যাব ৭ ও র‌্যাব ১৫ রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়া র‌্যাব-৭ এর সদস্যরা বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে। পাশাপাশি সাদা পোশাকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। র‌্যাবের এয়ার উইং নজরদারি করছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘স্পেশাল ফোর্স, বোম্ব স্কোয়াড এবং ডগ স্কোয়াডকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রয়োজনে তারা দ্রুত পরিস্থিতি মোকাবিলায় অংশ নেবে।’

সূত্র জানিয়েছে, রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের অংশ হিসেবে ৫০০ পরিবারের প্রায় আড়াই হাজার রোহিঙ্গাকে এই দ্বীপে পাঠানো হবে। ইতোমধ্যে গত ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত প্রায় ৬৬ টন খাদ্যসামগ্রী ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় গৃহস্থালি সামগ্রী দ্বীপটিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

ভাসানচর আশ্রয়ণ-৩ প্রকল্পের উপপরিচালক কমান্ডার মো. আনোয়ারুল কবির অবশ্য জানান, ‘১২০টি গুচ্ছগ্রামে প্রায় এক লাখ লোকের আবাসনের জন্য ভাসানচর প্রকল্প প্রস্তুত। আমরা রোহিঙ্গাদের আসার অপেক্ষায় আছি।’

পালস বাংলাদেশ সোসাইটির সহকারী প্রকল্প সমন্বয়কারী তুহিন সেন বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরিত করা উচিৎ। এখানে অনেক জায়গা। পরিবারগুলোর নিজস্ব জায়গা থাকবে। কক্সবাজারের তুলনায় এই জায়গা নিরাপদ।’

মাল্টি-সার্ভ ইন্টারন্যাশনালের প্রকল্প কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক বলেন, ‘কক্সবাজারে রোহিঙ্গারা অস্থায়ী টয়লেট ব্যবহার করছে। সেগুলো অস্বাস্থ্যকর। ভাসানচরে সব টয়লেট স্থায়ী, কংক্রিটের এবং স্বাস্থ্যকর।’

আরটিএম ইন্টারন্যাশনাল এনজিও’র মিডিয়া সহকারী এনাম আহমেদ জানান, দ্বীপটিতে দুটি হাসপাতাল আছে এবং জরুরি অবস্থার জন্য সি-অ্যাম্বুলেন্স ও হেলিকপ্টার আছে। সুতরাং, এখানকার চিকিত্সা ব্যবস্থা আরও ভালো।

ভাসানচরের মোট আয়তন প্রায় ১৩ হাজার একর। এর মধ্যে প্রায় ছয় হাজার ৪২৭ একর ব্যবহারযোগ্য। এই আশ্রয়ণ প্রকল্প এক হাজার ৭০২ একর জুড়ে থাকলেও গুচ্ছ গ্রামগুলো প্রায় ৪৩২ একর জমির মধ্যে তৈরি করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:

রোহিঙ্গাদের অপেক্ষায় ভাসান চর

১ লাখ রোহিঙ্গা ভাসানচরে নেওয়ার পরিকল্পনা থেকে সরে আসছে সরকার?

আবাসন প্রকল্প দেখতে ৪০ রোহিঙ্গা মাঝি ভাসানচরে

রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে না পাঠাতে আন্তর্জাতিক চাপ রয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

Comments

The Daily Star  | English

Fashion brands face criticism for failure to protect labour rights in Bangladesh

Fashion brands, including H&M and Zara, are facing criticism over their lack of action to protect workers' basic rights in Bangladesh, according to Clean Clothes Campaign (CCC)..One year after a violent crackdown by state actors and employers against Bangladeshi garment workers protesting

7m ago