প্রযুক্তি যেন মাটির জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকি না হয়: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রযুক্তি যেন মাটির জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকি না হয়, সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।
তিনি বলেন, ‘মাটির স্বাস্থ্যের সঙ্গে মানব স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিবিড়। নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের জন্য প্রয়োজন টেকসই মৃত্তিকা ব্যবস্থাপনা। বাংলাদেশের কৃষি এখন খোরপোশ কৃষি থেকে বাণিজ্যিক কৃষিতে উত্তরণের ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি উৎপাদিত কৃষি পণ্যের গুণাগুণ বজায় রাখতে হবে।’
‘বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস’ উপলক্ষে আজ শুক্রবার দেওয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য-‘মাটিকে সজীব রাখুন, মাটির জীববৈচিত্র্য রক্ষা করুন’। উল্লেখ্য, আগামীকাল শনিবার ‘বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস’।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘মাটির জীববৈচিত্র্য রক্ষা করে এর উর্বরতা বজায় রাখা দেশের ভবিষ্যৎ কৃষি উৎপাদনের জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ। পরিবর্তিত বৈশ্বিক জলবায়ু পরিস্থিতিতে টেকসই কৃষি উৎপাদনের ধারা অব্যাহত রাখা ও মাটির জীববৈচিত্র্য রক্ষা করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ।’
তিনি বলেন, ‘আমরা কৃষিক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করেছি, যা বিশ্ব সম্প্রদায়ের নজর কেড়েছে। এমনকি মহামারি কোভিড-১৯ দুর্যোগের মধ্যেও বাংলাদেশের কৃষি নিরবচ্ছিন্নভাবে এদেশের বিপুল জনগোষ্ঠীর খাদ্য যোগানের পাশাপাশি অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মহান স্বাধীনতা অর্জনের পর হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিপ্লবের সূচনা করেছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর পুনরায় কৃষির উন্নয়নে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন শুরু করে। ফলে, আধুনিক কৃষিতে যোগ হয়েছে উচ্চফলনশীল জাতের ফসল, যা অত্যন্ত কার্যকরী।’
তিনি বলেন, ‘ফসল চাষের নিবিড়তা বৃদ্ধি পেয়েছে, খাদ্য উৎপাদন বেড়েছে কয়েক গুণ। ক্রমাগত বাড়তি ফসল উৎপাদনের তাগিদে মাটির ওপর চাপ বাড়ছে। আমরা এদেশের কৃষির আধুনিকায়ন ও যান্ত্রিকীকরণের ওপর জোর দিচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কৃষির আধুনিকায়নের ফলে কৃষি উপকরণ হিসেবে বাড়ছে বিভিন্ন ধরনের সার ও বালাইনাশকের ব্যবহার। টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) বাস্তবায়নে এরই মধ্যে কৃষি সেক্টরে যোগ হচ্ছে নতুন নতুন উচ্চমূল্যমানের ফসল। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য বাড়ছে ফসল নিবিড়তা।’
বাণীতে তিনি বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ৫ ডিসেম্বর ‘বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস’ পালন করা হচ্ছে জেনে আনন্দ প্রকাশ করেন এবং দিবসটি উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
Comments